ফেনীর সোনাগাজীতে ইয়াসমিন আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। লাশ খাটের ওপর রেখে শিশু সন্তান নিয়ে পালিয়েছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। ইয়াসমিন আক্তারের ৩ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেছে। নিহত গৃহবধূ উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভাদাদিয়া গ্রামের আবু হেনা বাড়ির ফকির আহমদের ছেলে দুবাই প্রবাসী মেহেদী হাসানের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে নিহতের শ্বশুর-শাশুড়ি, ভাসুর-ভাসুরের স্ত্রী সহ পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন।
গৃহবধূর মা রোশনারা বেগমের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুর-শাশুড়ি এবং ভাসুর ও ভাসুরের স্ত্রী তার মেয়েকে নানা ভাবে যন্ত্রনা দিয়ে আসছে। এসব নিয়ে কয়েকবার সামাজিকভাবে বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু সমাধান হয়নি। তিনি আরো জানান, যৌতুক দিয়ে আমার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি, আরো যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার স্বামীর পরিবারের সদস্যরা। আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
গৃহবধুর ছোট বোন ফাহিমা আক্তার জানান, আসরের নামাজের পর একজন লোকের মাধ্যমে জানতে পারি আমার বোন আত্মহত্যা করেছে। বোনের স্বামীর বাড়ি ভাদাদিয়া গ্রামে পৌঁছে তার কক্ষের খাটের উপর বোনের নিথর দেহ তারা দেখতে পান। তারা সেখানে পৌঁছার আগেই ইয়াসমিন আক্তারের স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ ইয়াসমিন আক্তারের একমাত্র ছেলে ওমর ফারুক (৩) কে নিয়ে পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। আমার বোন শশুর পরিবারের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কয়েকবার আমাদের বাড়িতে চলে গিয়েছিল। সবাই তাকে বুঝিয়ে আবার শশুর বাড়িতে পাঠিয়েছে। আমার বোনকে শশুর পরিবারের লোকজন মেরে ফেলেছে।
এ ব্যাপারে সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুদ্বীপ রায় বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে সঠিক তথ্য জানা যাবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগে এটি হত্যা না আত্মহত্যা বলা যাবে না।
এফআর/অননিউজ