ফেনীর সোনাগাজীতে ছাত্র-যুবদলের নেতাকর্মীদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এঘটনায় চার জন আহত এবং দু'জনকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। শনিবার রাতে সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের সুজাপুর ও চরমজলিশপুর ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীগঞ্জ দশআনী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অবরোধের সমর্থনে মিছিল করায় ফেনী জেলা যুবদলের সদস্য মো. সেলিমের সুজাপুর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে রাত নয়টার দিকে যুবলীগ-ছাত্রলীগের ১৫-২০জন নেতাকর্মী হামলা চালিয়ে দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। এসময় তার শ্যালক মো. রাফিকে পিটিয়ে আহত করে। একই সময় যুবদলকর্মী ও সিএনজি অটোরিকশা চালক ছালাহ উদ্দিন আকাশ ও মো. ফারুক হোসেনকে পিটিয়ে আহত করে পুলিশে সোপর্দ করে। রাত ১১টার দিকে চরমজলিশপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন রিয়াদের বাড়িতে হানা দিয়ে রান্না ঘরে অগ্নাসংযোগ করে। এসময় এমরান মিয়াজি নামে এক যুবদল কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে।
ফেনী জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রফিকুল ইসলাম খোকন হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসযোগের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আ.লীগ কখনো জ্বালাও পোড়াও ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্বাস করেনা। তবে শুনেছি রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে পিকেটিংকালে জনতা দুইজনকে ধরে পুৃলিশে দিয়েছে। ছাত্রদল নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা শুনিনি। দলীয় প্রতিহংসায় কেউ করে থাকলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিবে। আ.লীগের কোন নেতাকর্মী অন্যায় করতে পারবেনা।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় বলেন, অগ্নিসংযোগের বিষয়ে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
এফআর/অননিউজ