ফেনীর সোনাগাজীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক প্রবাসী ও প্রতিপক্ষের লোকজন রোববার পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
বেলা ১১টায় পালগিরি গ্রামের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে ইরাক প্রবাসী আমির হোসেন অভিযোগ করেন, তিনি একজন ইরাক প্রবাসী। তার আরও ৪ ভাই সৌদি আরবে ব্যবসা ও চাকুরিরত আছেন। পারিবারিক কবরাস্থানের জন্য দুই শতক সহ একই এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের নিকট থেকে ৬০ শতক জমি ক্রয় করতে বায়না পত্র করেন। এর মধ্যে মাচ্ছাপুকুর জামে মসজিদের পাশে কবরাস্থানের জন্য দুই শতক জমি ২০২৩ সালের ৫ডিসেম্বর তার পিতা গোলাল আহমদের নামে রেজিস্ট্রি করে দখল বুঝে নেন। ৬০ শতক জমি ক্রয় করতে বায়না করায় মতিগঞ্জের ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মিজানুর রহমান সেলিম ও জমি বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলমের ভাই ইব্রাহীম মিলে প্রবাসী আমির হোসেনের নিকট পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় তাকে হয়রানি ও প্রাণ নাশের হুমকি দেন।
এ ঘটনায় তিনি ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান সেলিম ও মোহাম্মদ ইব্রাহীম গংদেরকে আসামি করে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহন করে সোনাগাজী মডেল থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। প্রতিপক্ষ মোহাম্মদ ইব্রাহীম গং বিকালে পৌর শহরের মধুমালা রেস্টুরেন্টে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, পালগীরি গ্রামের মাচ্ছাপুকুর জামে মসজিদের নির্মাণাধীন অজুখানা ভেঙ্গে গত ১৬ জানুয়ারি জবরদখলের চেষ্টা করেন প্রবাসী আমির হোসেন গং। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পশ্চিম পালগীরি আদর্শ সমাজের সভাপতি ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন সেলিম, মসজিদের জমিদাতা ও বিক্রেতা জাহাঙ্গীন আলমের ভাই মো. ইব্রাহিম, মো. ইসমাইল, মা বিবি আয়েশা, বোন রহিমা ও তার জেঠাতো ভাই প্রবাসী জাহেদ হাসান মুন্না।
তারা বলেন তাদের তিন ভাই, মা ও বোন মিলে ১৭শতক জমির আন্দরে ১৪ শতক জমি মাচ্ছা পুকুর জামে মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দেন। তার ভাই জাহাঙ্গীর আলম ওই অংশে দুই শতক জমির মালিকানা দাবি করে প্রবাসী আমির হোসেনের পিতার নামে দুই শতক জমি সাফকবলা দলিলমূলে বিক্রি করে দেন। ওই জমিতে মমসজিদের ওজু খানা ছিল। আমির হোসেন ওজুখানা ভেঙ্গে জমিটি পারিবারিক কবরাস্থানের জন্য দখল করে নেন। মসজিদের জমিটি উদ্ধারে তারা প্রশাসন ও সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রবাসী আমির হোসেনের সংবাদ সম্মেলনের চাঁদা দাবির প্রেক্ষিতে প্রতিপক্ষ মিজানুর রহমান সেলিম মেম্বারের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এফআর/অননিউজ