সোনাগাজীতে জমি সংক্রন্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অটোরিকশা চুরির অভিযোগ
সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি।।
সোনাগাজীতে রহস্যজনকভাবে একটি অনটেস্ট সিএনজি অটোরিকশা চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত ২ আগস্ট গভীর রাতে চরচান্দিয়া ইউনিয়নের উত্তর বাখরিয়া গ্রামের মানতর্কি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অটোরিকশার মালিক মিজানুর রহমান ও তার পিতা গোলাম মাওলা বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, জমি সংক্রন্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অটোরিকশাটি চুরি করিয়েছে ।
এ ব্যপারে ক্ষতিগ্রস্ত মিজানুর রহমান বাদী হয়ে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিরা হলেন, চরচান্দিয়া ইউনিয়নের উত্তর বাখরিয়া গ্রামের মানতর্কি বাড়ির গিয়াস উদ্দিন, তার ছেলে মো. সুমন, মো. মামুন, তার শ্যালক ফেনী শহরের মাস্টার পাড়ার বাসিন্দা মানিক ভূঞা ও একই বাড়ির মোশারফ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করেন, উত্তর বাখরিয়া গ্রামের মানতর্কি বাড়ির গোলাম মাওলার সঙ্গে একই বাড়ির মো. গিয়াস উদ্দিনের জমি সংক্রাস্ত বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। একই বিরোধের জেরে গত কয়েক দিন পূর্বে গিয়াস উদ্দিনের শ্যালক মানিক ভূঞা লোকজন দিয়ে গোলাম মাওলার ছেলে মিজানুর রহমানের সিএনজি অটোরিকশাটি ফেনীতে আটক করেন। সিএনজিটি ছাড়ার বিনিময়ে ৩৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন মানিক ভূঞা।
পরবর্তীতে ১৭ দিন পর সোনাগাজী পৌর যুবলীগের এক নেতার মধ্যস্থতায় ১০ হাজার টাকা চাঁদা পরিশোধ করে সিএনজি অঅটোরিকশাটি ছাড়িয়ে আনেন তারা। ২ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে বাড়ির উঠানে সিএনজিটি রেখে ঘুমিয়ে পড়েন মিজান। গভীর রাতে দুর্ত্তরা সিএসজিটি চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার জন্য সে উল্লেখিত প্রতিপক্ষ আসামিদের সন্দেহ করেন। তার দাবী প্রতিপক্ষের লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অটোরিকশাটি চুরি করে নিয়ে গেছে। মিজানুর রহমান পাঁচ লাখ টাকা মূল্যে কিস্তিতে গাড়িটি ক্রয় করেন। যার ইঞ্জিন নং-৯৫৭৯৭, চেসিস নং-১৮৭৩৮। এখনো কিস্তির অধিকাংশ টাকা অপরিশোধিত রয়ে গেছে। গাড়িটি চুরি হওয়ায় মিজানুর রহমান উদ্বিগ্ন হয়ে র্যাব ও পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাগাজী মডেল থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাদীর সন্দেহ মোতাবেক অভিযুক্তদের ব্যবহৃত মুঠোফোনের নাম্বারগুলো প্রযুক্তির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অটোরিকশাটি উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।