ফেনীর সোনাগাজীতে দিনে দুপুরে ডাকাতদের হামলায় আহত স্বর্ন ব্যবসায়ী অর্জুন চন্দ্র ভাদুরী (৫২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঘটনার ১২ দিন পর শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ৪২মিনিটে চট্রগ্রাম ইম্পেরিয়াল এপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি চরচান্দিয়া ইউনিয়নের উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের বীরেন্দ্র চন্দ্র ভাদুরীর ছেলে ও চার কন্যা সন্তানের জনক।
নিহতের ভাতিজা মানিক চন্দ্র ভাদুরী জানান, আইসিইউতে থাকা অবস্থায় তিনি হুদরোগে আক্রান্ত হলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। শুক্রবার বিকালে কিডনি ডায়ালাসিস করার পর তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। এরপর তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হলে রাত ২টা ৪২ মিনিটের দিকে চিকিৎসরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য; গত ৩০ অক্টোবর রোববার দুপুরে দুটি মোটর সাইকেল যোগে ছয় জনের সশস্ত্র ডাকাতদল চরচান্দিয়া ইউনিয়নের জমাদার বাজারস্থ অর্জুন জুয়েলার্সে ঢুকে ব্যবসায়ী অর্জুন চন্দ্র ভাদুরীর কাছে লাকারের চাবি দাবি করেন। ডাকাতদেরকে চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে দোকানের শো'কেইস ভাঙচুর করে এবং জোরপূর্বক চাবি ছিনিয়ে নিয়ে লকারে থাকা বিপুল পরিমাণ স্বর্ন ও নগদ টাকা লুটে নেয়। এসময় ডাকাতদলের সদস্যরা কয়েকটি হাত বোমা নিক্ষেপ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। শহীদুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা ডাকাতদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেলের গতি রোধ করতে চাইলে তাকে লক্ষ্য করে হাত বোমা নিক্ষেপ করলে তিনিও আহত হন। অর্জুন চন্দ্র ভাদুরীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্রগ্রাম ইম্পেরিয়াল এপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাকাতির ঘটনায় অর্জুন চন্দ্র ভাদুরীর মেয়ের জামাই বাদী হয়ে গত ৩ নভেম্বর অজ্ঞাতনামা ছয়জন ডাকাতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত ডাকাতরা হ্যালমেট ও মাস্ক পরিহিত থাকায় সিসিটিভির ফুটেজে অস্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। একাধিক সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডাকাতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।