ফেনীর সোনাগাজীতে বুধবার সন্ধ্যায় এক তরুণী (১৯) কে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মারধর করে মারুফ আলম ভূঁইয়া নামে (২৪) নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। সে উপজেলার বগাদানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ও বাদুরিয়া গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির ফখরুল আলম ভূঁইয়ার ছেলে।
এলাকাবাসী, পুলিশ, তরুণী ও তার পরিবারের সদস্যরা জানায়, মারুফ আলম ভূঁইয়া একই গ্রামের এক তরুণীর সাথে দীর্ঘ চার মাস পূর্ব থেকে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। তাকে বাইকে করে সাথে নিয়ে সে ফেনী ও সোনাগাজীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরাঘুরিও করে। বুধবার বিকেলে ওই তরুণীর বাড়িতে সে একা আছে জানতে পেরে তার বাড়িতে যায় মারুফ। এক পর্যায়ে তাকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন মারুফ। বিষয়টি টের পেয়ে বাড়ির লোকজন জড়ো হয়ে এলাকাবাসীকে ডেকে এনে মারুফকে আটক করে। স্থানীয় এলাকাবাসী তরুণীর বক্তব্য শুনে তাকে বিয়ে করতে বললে মারুফ অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধর করে সন্ধ্যা সাতটার দিকে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মারুফের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে মামলা দায়ের করেছেন।
তবে মারুফ ধর্ষণ চেষ্টার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ওই তরুণীর বড় বোন তাকে ফোন দিয়ে ওই বাড়িতে ডেকে নেন। তাদের ঘরে গেলে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। আগামীতে সে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী। ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক কিনা সে বুঝতে পারছেননা।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান বলেন, স্থানীয় জনতা মারুফকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।