ফেনীর সোনাগাজীতে সিসি টিভির ফুটেজ দেখে চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ও দুটি চোরাই গরু সহ তিন গরু চোর কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো-বাঘের হাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার পুটি খালি ইউনিয়নের মঙ্গলের হাট গ্রামের হাই বাড়ির আলী আহম্মদের ছেলে মো. ফারুক হোসেন (৪৮), চট্রগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানার আবদুল লতিফ মিস্ত্র বাড়ির আবদুস সফুরের ছেলে মহি উদ্দিন (২৯) এবং আকবর শাহ থানার জসিম মার্কেট ফেরির শাহ কলোনির মো. নাছিরের ছেলে মো. রিয়াদ (২৮)। পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানায়, গত ৮ অক্টোবর দিবাগত রাত দেড়টার দিকে একরাতে সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের মীর্জাপুর গ্রামের আবু ইউছুপের ২টি ষাঢ় ও একটি গাভি, মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের ২টি ষাঢ় এবং ওই গ্রামের দর্জি বাড়ির নুর আলমের ২টি গাভি ও একটি বাচুর একটি পিকআপ যোগে চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত গরু মালিক আবু ইউছুপ বাদী হয়ে গত ৯অক্টোবর অজ্ঞাত চোরদের বিরুদ্ধে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। সিসি টিভির ফুটেজ দেখে শুক্রবার সকালে উপজেলার ডাক বাংলা বাজারে চেক পোস্ট বসিয়ে চোরাইকাজে ব্যবহৃত পিকআপটি সহ চালক মো. ফারুক হোসেনকে আটক করে। তার দেয়া তথ্য মতে শুক্রবার রাতেই চট্রগ্রামের আকবর শাহ থানার এলাকার জসিম মার্বেটের ফেরির শাহ কলোনির নাছিরের মালিকীয় খামার থেকে ২টি গর্ভবতি গাভী উদ্ধার করা হয়। এসময় রিয়াদ ও মহি উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃ গরু চোরেরা জানায় মো. আজাদ প্রকাশ, কালু, খোরশেদ আলম, মহি উদ্দিন ও আলা উদ্দিন সহ একটি সংঘবদ্ধ চোরের দল পিকআপটি নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু চুরি করে আকবার শাহ এলাকার নাছিরের খামারে রেখে কসাই বিভিন্ন হাটে-বাজারে বিক্রি করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ১০-১২টি করে গরু চুরির মামলা রয়েছে। সোনাগাজী থেকে এক রাতে সাতটি গরু চুরির পর পাঁচটি গরু বিক্রি করে দিলেও দুটি গরু গর্ভবতি হওয়ায় নাছিরের খামারে রেখে দেন। ওই দুটি গাভীর মূল্য প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার টাকা। উদ্ধারকৃত গাভি দুটির মধ্যে একটি আবু ইউছুপের এবং আপরটি মোশাররফ হোসেনের বলে তারা সনাক্ত করেছেন। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাইফুল ইসলাম সুমন,অননিউজ24।।