সোনাগাজী, ফেনী প্রতিনিধি।।
ফেনীর সোনাগাজীতে দশ লাখ টাকা দিয়ে কৃষক নূরুল হক লিটন হত্যা মামলা আপোষ না করায় আসামি পক্ষের মহিষ হত্যার অভিযোগ করেছেন কারাবন্দি আসামির বোন আলেয়া খাতুন।
স্থানাীয় ইউপি সদস্য জামশেদ আলম তার সহযোগি শেখ ফরিদ মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, নাছির উদ্দিন, রুবেল ও মাসুদের বিরুদ্ধে রোববার বিকালে দক্ষিণ চরদরবেশ গ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন তার ভাই আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর মালিকীয় জমি থেকে গত ৩ সেপ্টেম্বর জমির ধানের চারা চুরি করাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনায় কৃষক নুরুল হক লিটন আহত অবস্থায় ৯ সেপ্টেম্বর মারা যান। এ ঘটনায় কৃষক লিটনের স্ত্রী বাদী হয়ে ১০ সেপ্টেম্বর তার তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তার দুই ভাই আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ও বেলায়েত হোসেনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।
এদিকে মামলাটি আপোষ মীমাংসা করার কথা বলে স্থানীয় ইউপি সদস্য জামশেদ আলম ও তার সহযোগিরা আমাদের কাছে দশ লাখ টাকা দাবি করেন। তাদের দাবি মোতাবেক আপোষ না করায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর মালিকীয় প্রায় ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাভী চুরি করে নিয়ে যায়, গরু-মহিষ দিয়ে আসামিদের জমিতে লাগানো আমন ধান খাওয়াই ক্ষতি সাধন করেন। ১৬ সেপ্টেম্বর চারটি ছাগল বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করেন। একই কায়দায় ২৯ অক্টোবর রোববার দুপুরে একটি মহিষকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করেন। তার দাবি মামলাটি আপোষ না করায় ইউপি সদস্য ও তার সহযোগিদের একের পর এক এসব অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছেন। তিনি আরো দাবি করেন আহত কৃষক লিটনকে হাসপাতালে ভর্তি না করে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে ঘটনার ছয়দিন পর মৃত্যু বরণ করেছেন। কিন্তু তার নিরপরাধ অপর দুই ভাইকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে। তার ভাই আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে কৃষক লিটনের হাতাহাতি হয়। বিষয়টি যেহেতু আদালতে বিচারাধীন সেহেতু তারা স্থানীয়ভাবে আপোষ করতে রাজি নয়।
ইউপি সদস্য জামশেদ আলম বলেন, আমি যেহেতু জনপ্রতিনিধি সেহেতু কোন ঘটনা ঘটলে একটি পক্ষ আমাকে দোষারোপ করতে পারেন। দশ লাখ টাকা দাবি, গরু চুরি, জমির ধান নষ্ট ও মহিষ হত্যার বিষয়টি সঠিক নয়। হত্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ করেন।
এফআর/অননিউজ