ফেনীর সোনাগাজীতে বিয়ের কথা বলে এক কিশোরী ধর্ষণের মামলায় ধর্ষণকারীকে পালাতে সহায়তা করা অভিযোগে মো. ইসমাইল হোসেন (২৭) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
১৩ নভেম্বর দিবাগত শনিবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব চরচান্দিয়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে রোববার দুপুরে তাঁক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ইসমাইলের ছোট ভাই ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত মো. রিপন (২০) পলাতক রয়েছে।
পুলিশ, ধর্ষিতার পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী ও মো. রিপন একই এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে রিপন ওই কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। একপর্যায়ে রিপনের সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের কথা বলে গত ১২ নভেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটায় রিপন মুঠোফোনে কিশোরীকে ডেকে নিয়ে রান্নাঘরে ধর্ষণ করেন। এ সময় কিশোরীর চিৎকারে তাঁর বাড়ির লোকজন এসে রিপনকে আটক করেন। রাতেই খবর পেয়ে রিপনের বড় ভাই ইসমাইল ঘটনাস্থলে এসে মেয়েটির সঙ্গে রিপনের বিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। শনিবার সকালে ইসমাইল বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে রিপনকে আত্মগোপনে পাঠিয়ে দেন। সেই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য কিশোরীর পরিবারকে হুমকি-ধমকি দেন। এ ঘটনায় শনিবার রাতে কিশোরীর মা বাদী হয়ে মো. রিপন ও তাঁর বড় ভাই মো. ইসমাইলকে আসামী করে সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। কিশোরীর মা বলেন, রাতের ঘটনা অস্বীকার করায় শনিবার দিনভর তিনি স্থানীয় সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়িয়েছেন। সমাজপতিরা তাঁকে থানায় গিয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেন। পরে তিনি মামলা করেন। তিনি রিপন ও তাঁর ভাই ইসমাইলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম বলেন, রিপনের ভাই ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। শনিবার সকাল থেকে রিপন পলাতক রয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে। রোববার সকালে ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ধর্ষিতার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।