বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সোনাগাজী আঞ্চলিক কার্যালয়ের কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত পাঁচটি উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ২০২২ সালে ব্রি আউশ মৌসুমের জন্য ব্রি৪৮, ব্রি৮২, ব্রি৮৩, ব্রি৮৫, ও ব্রি৯৮ সহ পাঁচ জাতের উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান উদ্ভাবন করেন বিজ্ঞানীরা। এ ধানগুলো কম খরচে উপজেলার দুটি ইউনিয়নের প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে পরীক্ষামূলক চাষ করা হয়েছে। উৎপাদিত শস্য কর্তন উপলক্ষ্যে সোনাগাজী ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের চরশাহাপুরে শস্য কর্তন ও মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়।
শনিবার সকালে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সোনাগাজী আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বিশ্বজিৎ কর্মকারের সভাপতিত্বে ও জ্যৈষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাঈম আহমদের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর।
অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জ্যৈষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আদিল, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আসিব বিশ্বাস, আরিফুল ইসলাম খলিদ, কৃষি উপসহকারি কর্মকর্তা মাহমুদ আলম, স্থানীয় কৃষক মো. কামাল উদ্দিন ও শেখ বাহার প্রমুখ।
এসময় প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহা পরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, টেকসই ধান প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিজ্ঞানীরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে তথা সোনাগাজীতে উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষে তৃণমূল কৃষকদের আগ্রহ থাকতে হবে। ইতোমধ্যে আউশ মৌসুমে যেসব ধান উদ্ভাবিত হয়েছে সেসব ধান স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবেন। মাত্র ১১০দিনে এ ধানগুলো কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবেন। ধানগুলো অধিক পুষ্ঠিগুণ সমৃদ্ধ ও পরিবেশ বান্ধব। বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন দেশে হিসেবে গড়ে তুলতে হলে এসব জাতের ধান চাষের বিকল্প নাই। নতুন উদ্ভাবিত ধানগুলোতে সারও কম লাগে পোকা মাকড়ও কমধরে। তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা অত্যন্ত মেধাবী। তারা বিদেশ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে উন্নত জাতের নতুন নতুন ধান আবিস্কার করছেন। তাই বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি না থাকে, সেজন্য পরিকল্পিতভাবে চাষ করতে হবে। এক ফসলি জমিগুলোকে তিন ও চার ফসলি জমিতে রূপান্তর করতে হবে। সরকারও কৃষি খাতে ভুর্তকি এবং বিপুল পরিমাণ প্রণোদোনা অব্যাহত রেখেছেন। সরকারের এই সহযোগিতাকে কাজে লাগিয়ে কৃষকদের মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।