নির্বাচনি সহিংসতার আগুন নয়, পুলিশের দাবি প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দ্বন্দ্বের জেরে ঢুকুমেন্টস পুড়তে এ অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সোনাগাজীর চরদরবেশ ইউনিয়নের চরসাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের অফিস কক্ষে শুক্রবার ভোরে এ অগ্নিসংযোগ করা হয়। বিদ্যালয়ের পিয়ন আবু বক্কর সিদ্দিক পরিকল্পিতভাবে পেট্টোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করেছেন।
শুক্রবার রাত দশটায় সোনাগাজী মডেল থানার ওসির কক্ষে ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান প্রেসব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের অডিট সংক্রান্ত বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবদুল হকের দ্বন্দ্বের জেরে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র আগুন লাগিয়ে নষ্ট করার জন্য পিয়ন আবু বক্কর সিদ্দিক পেট্টোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করেন।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, ৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে একটি দোকান থেকে এক লিটার পেট্টোল কিনে অফিস কক্ষে রাখেন। পরদিন শুক্রবার ৫জানুয়ারি ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বিদ্যালয়ে এসে আগে থাকা রাখা বই এবং আলমারি খুলে পেট্টোল ছিটিয়ে রুম থেকে বের হয়ে জানালার কাঁচ ফাঁক করে দিয়াশলাই দিয়ে আগুন লাগিয়ে বাড়িতে চলে যায়। সকালে মর্নিং ওয়ার্ক করতে গেলে বিদ্যালয়ে আগুন দেখে পিয়ন আবু বক্করকে মুঠো ফোনে ফোন দেন। পুলিশ এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিদ্যালয়টির পিয়ন আবু বক্কর ছিদ্দিককে আটক করলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে এমন তথ্য দেন।
এ ঘটনায় ভাপরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খায়ের উল্যাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বিদ্যালয়টিতে দীর্ঘ দিন যাবৎ প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির মধ্যে বিরোধের জেরে প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
গত ৪ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিষয়টি চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য কুমিল্লা বোর্ডকে আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষককে চাকরিতে যোগদান করে বকেয়া পরিশোধের আদেশ দেন।
এফআর/অননিউজ