ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার দায়ে পাঁচ জেলেকে সাত দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সময় মাছ ধরার ২টি নৌকা, ৩ হাজার মিটার জাল এবং ৫০ কেজি মাছ জব্দ করে ধ্বংস হয়। শুক্রবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার মুহুরি প্রকল্প এলাকা থেকে চর খোন্দকার ও চর আবদুল্লাহ এলাকায় বড় ফেনী নদীতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম অনীক চৌধুর ও মৎস্য বিভাগ যৌথভাবে এ অভিযান চালায়।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তূর্য সাহা বলেন, প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় বড় ফেনী নদীতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নদীতে জাল ফেলে মাছ ধরার অভিযোগে আটক জেলেদের কাছ থেকে ৩ হাজার হাজার মিটার জাল, ২টি নৌকা, ৪০ কেজি ইলিশসহ মোট ৫০ কেজি মাছ জব্দ করা হয়। পরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আটক জেলেদের কারাদণ্ড দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম অনীক চৌধুরী।
দণ্ড পাওয়া পাঁচ জেলে হলেন মো. স্বপন (২৫), মো. কোরবান আলী (১৮), মো. সোহাগ (৩০), হাসান মিয়া (২৮) ও মো. মোস্তফা মিয়া (৩০)। তাঁরা সবাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুসাপুর এলাকার বাসিন্দা। অভিযানে জব্দ করা মাছগুলো স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। আর জালগুলো জনসমক্ষে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। নৌকা দুটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে। অভিযানে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন, মেরিন ফিশারিজ খাইরুল বাশারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. খালেদ হোসেন বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত জেলেদের শুক্রবার বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে মৎস্য বিভাগের পাশাপাশি পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও সক্রিয় আছেন।
প্রসঙ্গত; মা ইলিশ সংরক্ষণে ৬ অক্টোবর রাত ১২টা থেকে টানা ২২ দিন ইলিশ শিকার, বিপণন, মজুত ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত।