ফেনীর সোনাগাজীতে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুকে প্রধান আসামি করে ৪৭জনের নাম উল্লেখ করে (বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের) এবং অজ্ঞাতনামা ১২০-১৩০জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন পুলিশ।
সোনাগাজী মডেল থানার এসআই সৌরজিৎ বডুয়া ও মাঈন উদ্দিন বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। রিপন (২৮) নামে এক ব্যক্তিকে এ দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত; সোমবার বিকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে বিএনপি কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে দুই পুলিশ কর্মকর্তা সহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় ৬০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছে। আহতরা হলেন, সহকারি পুলিশ সুপার (সোনাগাজী-দাগনভূঞা) সার্কেল মাশকুর রহমান, সোনাগাজী মডেল থানার এসআই আরিফুল করিম দোলন, যুবদল নেতা নুর আলম ভূঞা, আবুল হাসেম, নুর করিম, বেলায়েত হোসেন, কামরুল ইসলাম, ওমর ফারুক ও নুর হোসেন প্রমুখ। পুলিশ জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জ্বালানী তেল, পরিবহন ভাড়াসহ সকল দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশ কর্তৃক গুলি করে ছাত্রনেতা নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে ২৯ আগস্ট সোমবার বিকালে সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে। সোনাগাজী জিরোপয়েন্ট সংলগ্ন এনায়েত শপিং কমপ্লেক্সেের সামনে আহূত সমাবেশ বানচাল করতে পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগ শোক সভা ও দোয়া মাহফিলের ডাক দেয়। কার্যত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সকাল থেকে আ.লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা সোনাগাজী জিরোপয়েন্ট দখলে নিয়ে লাঠিশোঠা হাতে মিছিল করতে থাকে। এ ছাড়াও ডাকবাংলা ও মতিগঞ্জ নামক স্থানে পাহারা বসিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা প্রদান করেন। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পুলিশের অনুরেধে সঙ্ঘাত এড়াতে বিএনপি স্থান পরিবর্তন করে ভৈরব রাস্তা নামক স্থানে সমাবেশের আয়োজন করেন। সমাবেশ শুরুর কিছু সময় পর প্রধান সড়কে একটি কোস্টগার্ডের খালি গাড়ি দেখে পুলিশের গাড়ি মনে করে ৩০-৪০জন উৎশৃঙ্খল নেতাকর্মী গাড়িটি ধাওয়া করে। আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের সামনে দায়ীত্বে থাকা পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। পুলিশ এসময় প্রায় ৬০ রাউন্ড গুলি করে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান মামলা রুজুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।