ফেনীর সোনাগাজীতে যমুনা গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান যুগান্তর ও যমুনা টিভির প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলামের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কুরআন খতম, স্মরণ সভা ও, দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার দুপুরে সোনাগাজী পৌরসভার রওজাতুল উলুম রহমানিয়া মাদরাসা ও এতিম খানায় যুগান্তর সোনাগাজী (ফেনী) দক্ষিণ প্রতিনিধি জাবেদ হোসাইন মামুনের সভাপতিত্বে ও সোনাগাজী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শেখ আবদুল হান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শামছুউদ্দিন খোকন চেয়ারম্যান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাও. মো. মোস্তফা, বাংলাদেশ পরিবেশ ও মানবাধিকার বাস্তবায়ন সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক কাজী মিজানুর রহমান মিস্টার, জেলা সহকারি পরিচালক খুরশিদ আলম, হেফাজতে ইসলামের উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. নুরুল আলম, পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান সাগর, সোনাগাজী প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, আলমগীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক এসএন আবছার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সালাহ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম রিয়াদ, মাদরাসার মুহতামিম মাও. মোশাররফ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক মাও. মাফুজ উল্যাহ, ক্বারী বেলাল উদ্দিন, মাও. মুহিব উল্যাহ ও ক্বারী করিমুল হক। প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলামের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন রওজাতুল উলুম রহমানিয়া মাদরাসা ও এতিম খানার সিনিয়র শিক্ষক মাও. নুরুল আবছার।
স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, যমুনা গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম একজন দেশপ্রেমিক শিল্পপতি ছিলেন। তিনি দেশকে ভালোবেসে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। যুদ্ধ বিধস্ত দেশের অর্থনীতির ভিত্তি দাঁড় করাতে তিনি কর্মমুখী উদ্যোক্তা হিসেবে মাঠে নেমে পড়েন। সফল একজন ব্যবসায়ী ও শিল্পদ্যোক্তা হিসবে তিনি দেশের কয়েক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে গেছেন। তিনি কখনও বিদেশে টাকা পাচার করেননি। তিনি দেশেই গড়ে তুলেছেন অসংখ্য শিল্পকারখানা। তিনি অসংখ্য শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে দেশী-বিদেশীদের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করে গেছেন। এতেই প্রমাণীত হয় তিনি একজন খাঁটি দেশ প্রেমিক লোক। তার দেশ প্রেম ও রেখে যাওয়া শিল্পকারখানার সুফল সমগ্র দেশের মানুষ ভোগ করছেন। তার প্রতিষ্ঠিত মিডিয়া তার মতই অকুতোভয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, কারো সঙ্গে আপোষ করে না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তার প্রতিষ্ঠিত যমুনা টিভি ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা সত্য ও সাহসী সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে জুলাই যোদ্ধাদের শক্তি ও সাহস যুগিয়েছিল। তিনি আপাদমস্তক একজন পরিচ্ছন্ন শিল্পপতি ছিলেন। তার শূন্যতায় দেশের অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে। তিনি বেঁচে থাকলে আজকে তার স্বপ্নের এ দেশকে আরও অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতেন। তার সততা, দেশ প্রেম, সাহসিকতা ও কর্মদক্ষতা সমগ্র দেশবাসীর জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে ১৯৭৪ সালে যমুনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করে তিনি দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে আধুনিক বাংলাদেশের ভিত রচনা করে গেছেন। তার স্মৃতি সমুন্নত রাখতে ফেনীর সোনাগাজীর উপকূলীয় এলাকায় একটি দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র অথবা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। তার রেখে যাওয়া শিল্প গ্রুপের দিয়ীত্বে থাকা সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী যমুনা গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান সালমা ইসলামের প্রতি বক্তরা এ আহবান জানান।