ফেনীর সোনাগাজীতে শুক্রবার ভোরে একটি ভোট কেন্দ্রে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের চরসাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে দু'লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, এলাকাবাসী ও স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, ভোর ছয়টার দিকে অজ্ঞাতনামা দৃুর্বৃত্তরা বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে পেট্টোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ে। এতে শিক্ষক মিলনায়তনের আসবাবপত্র, কাগজপত্র ও কম্পিউটার সামগ্রী পুড়ে যায়। খবর পেয়ে সোনাগাজীর ফায়ার সার্ভিস দল ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। উল্লেখ্য; বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সভাপতি, শিক্ষক বৃন্দ এবং কমিটির অপরাপর সদস্যদের মধ্যে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিরোধ চলছে। সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীনকে অর্থ কেলেঙ্কারীর দায়ে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এসব ঘটনায় হাইকোর্টে দু'পক্ষের মামলা চলছে।
চরদরবেশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম ভূট্টো জানান, বিদ্যালয়টিতে দীর্ঘ দিন যাবৎ শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে বিরোধ চলছে। একধিকে ভোট অন্যদিকে শিক্ষকদের সঙ্গে ম্যানেজিং কমিটির বিরোধ দুটি সূত্র ধরে তদন্ত করলে রহস্য উদঘাটন হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, যে ভবনে ভোট গ্রহন করা হবে সেটিতে আগুন লাগেনি। যথাসময়ে ভোট গ্রহন করা হবে। আগুন লাগার বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে রহস্য উদঘাটন হবে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় বলেন, শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির দ্বন্দ্ব এবং ভোট উপলক্ষ্যে নাশকতা কিনা দুটি বিষয়ে তদন্ত চলছে। দুপুর ১২টার দিকে রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, পুলিশ সুপার জাকির হাসান ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন বলেন, গত ৬ডিসেম্বর হাইকোর্টের আদেশ আমার পক্ষে এসেছে। সার্টিফাইড কপি ৪জানুয়ারি বৃহস্পতিবার আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দিয়েছি। শুক্রবার সকালে জানতে পারি বিদ্যালয়ে আগুন দিয়েছে বিষয়টি খতিয়ে রহস্য উদঘাটনের দাবি জানাচ্ছি।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. মো. আবদুল হক বলেন, বিষয়টি আমি ঢাকায় থেকে শুনেছি। খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুর দুটায় শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভা ডেকেছি। আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা বিষয়টি তদন্ত করছে। সঠিক রহস্য উদঘাটন হোক।
এফআর/অননিউজ