ফেনীর সোনাগাজীতে মায়ের সামনে মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. লাতু (৫০) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩ টিকাটুলির সদস্যরা। তথ্য প্রযুক্তি ও র্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে ঢাকার দক্ষিণ বাড্ডা লিংক রোড থেকে মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে বুধবার সকালে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। সে সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে ও চার কন্যা সন্তানের জনক।
পুলিশ জানায়, ২০০৩ সালের ১২ মে রাতে সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের সনাতন ধর্মের একটি পরিবারের মা-মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে মায়ের সামনে কিশোরী মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ওই কাশোরীর মা বাদী হয়ে পরদিন ১৩ মে চারজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। সোনাগাজী মডেল থানার মামলা নং- ০৪, তাং- ১৩-৫-২০০৩ইং, জিআর নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা নং-৫৬/৩, ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/৩ এর ৯(৩)।নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে গত ১৪ জুলাই ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওসমান হায়দার তিন আসামির মৃত্যুদন্ড ও এক আসামিকে খালাসের রায় ঘোষণা করেন। একইসাথে প্রত্যেক দন্ডপ্রাপ্তকে ২ লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন ।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আবুল কাশেম, মো. লাতু ও জাহাঙ্গীর আলম। খালাস পেয়েছেন মোহাম্মদ ফারুক। রায় ঘোষণার সময় মোহাম্মদ ফারুক আদালতে উপস্থিত থাকলেও মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি পলাতক ছিলেন। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর আলম আদালতে আত্মসমর্পন করতে আইনি পরামর্শ নিতে ১১সেপ্টেম্বর রোববার সন্ধ্যায় তার ভগ্নিপতিকে সাথে নিয়ে আইনজীবী করিমুল হক দুলালের চেম্বারে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। ওই মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি আবুল কাসেম পলাতক রয়েছেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান লাতুকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।