ফেনীর সোনাগাজীতে আবদুল মতিন (৫০) নামে এক মুদি দোকানিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের জিৎপুর গ্রামের মতিনের দোকানের সামনে মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার জানায়, মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভাদাদিয়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে আবদুল মতিন জিৎপুর রিয়াজ স্টোরের মালিক। গত ২ এপ্রিল সাোমবার দিবাগত রাতে তার দোকান থেকে নগদ ২৫ হাজার ৮০০টাকা এবং কয়েক কার্টন বিভিন্ন প্রকারের সিগারেট চুরি হয়। বুধবার সকাল ১১টায় মতিগঞ্জ তানবিন গ্রোসারিজের মালিকের কাছে ২৩ প্যাকেট সিগারেট বিক্রি করতে যান মতিনের বাড়ির অটোরিকশা চালক মো. হৃদয় (২৫)। সিগারেটগুলো কোম্পানির দর থেকে কম দরে বিক্রি করতে চাইলে দোকানি শহীদ উল্লাহ হুমায়ুনের সন্দেহ হয়। তিনি কয়েকজন ব্যবসায়ীকে খবর দেন। এরমধ্যে তিনি জিৎপুরের মতিনের দোকান চুরির খবর জানতে পারেন। হৃদয়কে বসিয়ে রেখে তিনি তাকে খবর দেন। খবর পেয়ে মতিন তার স্বজনদের নিয়ে শহীদের দোকানে হাজির হন। হৃদয়কে আটক করে জিৎপুর তার দোাকানের সামনে নিয়ে যান। সেখানে হৃদয়ের মা শাহানা আক্তার উপস্থিত হয়ে নিজের ছেলেকে নির্দোষ দাবি করে মতিনকে মারধর শুরু করেন। এসময় হৃদয় ও তার মা শাহানার হামলায় দোকানি মতিন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক শাহানা আক্তার (৪০) ও তার ছেলে হৃদয়কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। শাহানা আক্তার ভাদাদিয়া গ্রামের আবদুল মতিনের বাড়ির শহীদুল ইসলামের স্ত্রী এবং হৃদয় তার ছেলে। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. বায়েজীদ আকন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মজ/অননিউজ২৪