সোনাগাজী, ফেনী প্রতিনিধি।।
ফেনীর সোনাগাজীতে স্বর্ন দোকানি হত্যা ও ডাকাতির ঘটনায় পরিকল্পনাকারী দুলাল চৌধুরী ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার বিকালে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আশেকুর রহমানের আদালতে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ ঘটনায় সে সহ মোট পাঁচজন গ্রেফতারকৃত আসামি ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেছেন। র্যাব ও পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে মোট ১৩জন আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. আবুল কাশেম বলেন, ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর দুপুর দুইটার দিকে চরচান্দিয়া ইউনিয়নের জমাদার বাজারে দোকানী অর্জুন ভাদুরীকে কুপিয়ে, এলোপাথাড়ি বোমা ফাটিয়ে ডাকাতদলের সদস্যরা প্রায় প্রায় ৮০ লাখ টাকার স্বর্ন লুটে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় অর্জুন ভাদুরী মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহতের জামাই রনি বণিক বাদী হয়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের নামে মামলা করেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে র্যাব ও পুলিশ হত্যা রহস্য উন্মোচন করেন। তিনি আরো বলেন দুলাল চৌধুরীর ঢাকার একজন স্বর্ন ব্যবসায়ী। সে সোনাগাজীর চরসাভিকারী গ্রামের আবদুছ সালামের ছেলে। সে স্বর্ন ব্যবসার আড়ালে স্বর্ন দোকান ডাকাতি করত। এর আগে ঢাকার কেরানাগঞ্জে ও বরিশাল গৌরনদী থানায় পৃথক দুটি স্বর্ন দোকান ডাকাতি মামলার আসামি ছিলেন দুলাল চৌধুরী। ডাকাতদের কাছ থেকে লুন্ঠিত স্বর্ন কমদামে ক্রয় করে নিজ দোকানে বিক্রি করেন। নিজের এলাকায় দোকানিকে হত্যা ও ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন দুলাল চৌধুরী। এছাড়া ঘটনার পর ডাকাতদেরকে তার বাসায় আশ্রয়ও দিয়েছিলেন।
দুলাল চৌধুরীকে ঢাকার কদমতলী থানার জুরাইন এলাকা থেকে শনিবার রাতে র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পের সদস্যরা গ্রেফতার করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করলে পুলিশ তাকে রোববার তাকে আদালতে প্রেরণ করলে সে স্বীকারোক্তি দেয়। ঘটনায় জড়িত আরো তিন আসামিকে গ্রেফতার করতে র্যাব পুলিশ হন্য হয়ে খুঁজছে। তদন্তে উঠে আসা ওই তিন আসামিকে গ্রেফতার করেই আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করবেন তদন্ত কর্মকর্তা। এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
এফআর/অননিউজ