সোনাগাজীতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক হত্যার ঘটনায় ৩১জনের নামে মামলা, গ্রেফতার দুই

ফেনী প্রতিনিধি।।

ফেনীর সোনাগাজীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক মো. মিজানুর রহমান (৪৫) হত্যার ঘটনায় ৩১জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন তার সহোদর আবু তৈয়ব। সোনাগাজী মডেল থানার মামলা নং-১৪, তাং- ০৬-০৫-২০২৩খ্রিস্টাব্দ। শনিবার সকালে তিনি ২১ নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৮-১০জনের বিরুদ্ধে সোনাগাজী মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি মোহাম্মদ শরীফ ওরফে জামাই শরীফ (৩৭) এবং তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বানু (৩০) কে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছেন। শরীফ একই গ্রামের হোসেন মেম্বার বাড়ির মজিদ মিয়ার ছেলে। শনিবার বিকাল চারটায় নিহত মিজানুর রহমানের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। রাতে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে নামাজে জানাজা শেষে দাফন করার কথা রয়েছে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার জানায়, সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের মৃত জাকির উল্যাহর ছেলে মিজানুর রহমান গংদের সঙ্গে একই বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে জসিম উদ্দিন গংদের ৭০ পয়েন্ট জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার সকালে বাড়িতে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে দু’পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। দুপুর ১২টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে মিজি বাড়ির সামনে গেলে আবু তাহেরের ছেলে জসিম উদ্দিন, নিজাম উদ্দিন সবুজ, আবুল খায়েরের ছেলে মাঈন উদ্দিন মামুন, মোহাম্মদ শরীফ, আবদুল শুক্কুরের ছেলে আজগর হোসেন, জসিমের ছেলে সমির উদ্দিন, জাকির হোসেন ও সবুজের ছেলে বাবলুর নেতৃত্বে ১৫-২০জন সন্ত্রাসী ডা. মিজানুর রহমানকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরতর আহত করে। তার উপর হামলার খবর শুনে তার তিন সহোদর আবদুল হাই, আবু তৈয়ব ও আবদুল গোফরান এগিয়ে এলে তাদেরকেও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে তারা। স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে মিজানুর রহমানকে রাত ৮টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মিজানুর রহমান মনগাজী বাজারের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক, ছাড়াইতকান্দি হোছাইনিয়া দাখিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস এবং সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের ছাড়াইত কান্দি গ্রামের কালা সোবহানের বাড়ির মৃত নূরুল হুদার ছেলে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকীদেরকে গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

শান্ত/অননিউজ

আরো দেখুনঃ