ফেনীর সোনাগাজীতে ৪০ দিন জামায়াতে তাকবীরে উলার সাথে নামাজ আদায় করে বাইসাইকেল পেল ২৯৪ শিশুকিশোর।
শিশু-কিশোরদের নামাজের প্রতি আকৃষ্ট করতে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহির। এই পুরস্কারের অর্থ যোগানদাতা ছিলেন হোসাফ গ্রুপের পরিচালক মাবরুর হোসাইন। সেই ঘোষণায় আকৃষ্ট হয়ে টানা ৪০ দিন জামাতে তাকবীরে উলার সাথে নামাজ পড়তে প্রতিযোগিতা করেন সাত শতাধিক শিশুকিশোর। নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বাইসাইকেল বিতরণের জন্য আমিরাবাদ বিসি লাহা স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বুধবার বিকেলেন নবাবপুর ইউপি সচিব মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় ও চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহিরের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (সোনাগাজী- দাগনভূঁইয়া) সার্কেল তসলিম হুসাইন, সোনাগাজী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি তানিয়া আক্তার লুবনা ও হোসাফ গ্রুপের পরিচালক মাবরুর হোসাইন|অন্যান্যের মাঝে আরও বক্তব্য রাখেন ফরহাদ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বাচ্চু ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ নুর নবী ও নবাবপুর ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
সূত্র জানায়, পবিত্র শবে বরাতের রজনী থেকে চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহির পুরো ইউনিয়নের সকল মসজিদে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, ১৫ বছরের কম বয়সের কিশোররা যদি একটানা ৪০ দিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে তাকবীরে উলার সাথে আদায় করে, তাহলে তাদেরকে একটি করে বাইসাইকেল পুরষ্কার দেয়া হবে।
সে ঘোষণায় উৎসাহিত হয়ে এলাকার অনেক কিশোরই নামাজ আদায় শুরু করে। টানা ৪০ দিন নিয়মিত জামাতে নামাজ পড়েছেন প্রায় সাত শতাধিক শিশুকিশোর।
চেয়ারম্যানের শিশু-কিশোরদেরকে নামাজের প্রতি আকৃষ্ট করে মসজিদমুখি করার লক্ষ্যে আয়োজিত এমন উদ্যোগকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনরা ব্যাপক প্রশংসা করেছেন।
চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহির বলেন, ঘোষণার পর থেকে পুরো ইউনিয়নের সহস্রাধিক শিশুকিশোর মসজিদে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা শুরু করে। তারা ঠিকমতো নামাজ আদায় করছে কিনা তা হিসার রাখার জন্য প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের মাধ্যমে হাজিরা নেয়া হতো। যদি কেউ কোনো ওয়াক্তে অনুপস্থিত থাকতো তখন তার গণনা বন্ধ করে দেয়া হতো। তবে সে চাইলে তার নাম আবার লিখিয়ে নতুন করে নামাজের দিন গণনা শুরু করতে পারত। এভাবে নিয়মিত যাচাই-বাছাই ও হাজিরার ভিত্তিতে সর্বশেষ ২৯৪ জন বিজয়ী হয়।
তিনি বলেন, প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে তাদের শুধু নামাজই পড়ানো হয়নি। বরং সঠিকভাবে নামাজ শিক্ষা ও নামাজ সম্পর্কে জরুরি মাসয়ালাও শেখানো হয়েছে, সেই সঙ্গে তালিম-তরবিয়ত এবং নামাজের প্রতি মানুষকে আহবানের পাশাপাশি দ্বীনি ইসলাম সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া হয়েছে।
জাবেদ হোসাইন মামুন