ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বড় ফেনী নদীতে এবার জেলেদের জালে প্রায় ১০ মণ ওজনের বিশাল আকারের একটি ‘শাপলাপাতা’ মাছ ধরা পড়েছে। ২৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার চর খোন্দকার জেলেপাড়া এলাকার জেলে হিরেন্দ্র জলদাসের জালে মাছটি ধরা পড়ে। পরে মাছটিকে নদীর তীরে ঘাটে নিয়ে এলে হরিশংকর নামের এক ব্যবসায়ী ৮ হাজার টাকা মণ দরে ৮০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন। এ সময় উৎসুক মানুষ মাছটি দেখতে ভিড় করেন। বুধবার সকালে প্রতি কেজি চারশ' টাকা দরে বিভিন্ন লোকজনের কাছে বিক্রি করা হয়।
মৎস্যজীবী হিরেন্দ্র জলদাস বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার সকালে তিনি তিনজন সহকারী নিয়ে মাছ ধরতে বড় ফেনী নদীর শেষ সীমানায় বঙ্গোপসাগরের মোহনায় যান। দুপুরের পর জালটি টেনে তোলার সময় ভারী লাগে।
নৌকায় থাকা তারা চারজন মিলে জাল টেনে তুলতে পারছিলেন না। পরে আশপাশের নৌকা থেকে আরও চার-পাঁচজনকে ডেকে এনে জালটি নৌকায় তোলা হয়। তখন তিনি দেখতে পান, তাদের জালে ধরা পড়েছে ‘শাপলাপাতা’ মাছ। পরে বিকেলে তারা মাছটিকে নৌকায় করে নদীর তীরে স্থানীয় আড়তে নিয়ে আসেন। শাপলাপাতার সঙ্গে অন্যান্য আরও ৩০ কেজি মাছ ধরা পড়েছে।
নৌকার মালিক হিরেন্দ্র জলদাস বলেন, ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতের কারণে নদীতে তেমন বড় মাছ ধরা পড়ছে না। মাঝেমধ্যে দুই-একটি মাছ পাওয়া যায়। তবে বড় আকারের শাপলাপাতা–জাতীয় মাছ এই অঞ্চলে তেমন দেখা যায় না। বেশ কয়েক বছর পর ‘শাপলাপাতা’ মাছ ধরা পড়েছে। তবে মাঝেমধ্যে ১০ থেকে ২০ কেজি ওজনের শাপলাপাতা মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ে থাকে। বেশ কয়েক বছর পর এবার এত বড় মাছ ধরা পড়ল।
সিরাজুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, তিনি শাপলাপাতা মাছটি দেখে খুব খুশি হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার জীবনে এ ধরনের মাছ দেখিনি। বাড়িতে দেখানোর জন্য মুঠোফোনে মাছটির ছবি তুলেছি।’
সোনাগাজী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তূর্য সাহা বলেন, শাপলাপাতা একটি সামুদ্রিক মাছ। এই অঞ্চলের মানুষের কাছে বেশি পরিচিত না থাকায় এর চাহিদা কম। তবে সমুদ্রবেষ্টিত অঞ্চলের মানুষের কাছে এটি খুবই সুস্বাদু ও জনপ্রিয় একটি মাছ। শুনেছি মাছটি চারশ' টাকা দরে স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।