সোনারগাঁয়ে ইউপি সদস্যকে অপহরণ করে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা চেষ্টা
নজরুল ইসলাম শুভ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মনিরুজ্জামানকে অপহরণ করে কুপিয়ে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। সোমবার বিকেলে ওই ইউনিয়নের চৌরাপাড়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই ইউপি সদস্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত ইউপি সদস্যের ছেলে মো. বিশাল বাদি হয়ে মঙ্গলবার সকালে ১৩জনের নাম উল্লেখ করে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, উপজেলা নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মনিরুজ্জামানের ছেলে বিশালের সঙ্গে পাশ্ববর্তী এলাকায় মোস্তফার সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সোমবার ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে শেককান্দি এলাকা থেকে অটোযোগে ইউপি সদস্যকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ওই এলাকার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপিত শহিদুল্লাহ সরকারের ছেলে জানে আলম, সাইফুল ইসলাম, সাব্বির সরকার, নয়নসহ ১৪-১৫জনের একটি দল। অপহরণ করে নিয়ে এক পর্যায়ে তাকে লোহার রড, দা, চাইনিজ কুড়াল, হকিস্টিক ও এসএসের পাইপ দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। পরে তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় ইউপি সদস্যেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ইউপি সদস্য মো. মনিরুজ্জমান বলেন, এলাকার কয়েকজন যুবকের সঙ্গে আমার ছেলে কথাকাটাকটি ও হাতাহাতি হয়। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করে দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছি। সোমবার পরিষদে কাজ শেষে বের হওয়ার পর নোয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল্লাহ সরকারের ছেলে জানে আলমের নেতৃত্বে ১৪-১৫ জনের একটি দল অটোযোগে আমাকে তুলে নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে সে আমাকে কলেমা পড়ে নেওয়ার বলে। আমাকে সেখানে হত্যা করবে। এসময় আমাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে তারা দা, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে।
শহীদুল্লাহ সরকার বলেন, আমাদের এলাকার লোকজনকে বিনা দোষে মেম্বারের দুই ছেলে মারধর করে। তাদের ভয়ে এ এলাকার লোকজন বারদি বাজার করতে যেতে পারে না।
সোনারগাঁ থানার পরির্দশক তদন্ত মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ বলেন, ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।