সোনারগাঁয়ে জাল দলিল করে পাগলের জমি আত্মসাতের চেষ্টা
নজরুল ইসলাম শুভ, সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ):

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার অর্জুনদী এলাকার রুবেল প্রধান (৪৩) ওরফে রুবেল পাগলা নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির জমি দলিল লেখক, সাক্ষী ও গ্রাহকের যোগসাজশে দলিল সম্পাদন করে আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার বৈদ্যেরবাজার সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে পৌরসভা অর্জুনদী গ্রামের মৃত মোস্তফা প্রধানের ছেলে রুবেল প্রধান মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তার বাবা-মা মৃত্যুর পর তার ভাই-বোনরাই মূলত তার জমি ভোগ দখল করে আসছ। সেই সুবাদে দলিল লেখক ও সাক্ষীগণের যোগসাজশে সুকৌশলে তারই ভাই সালাম প্রধান গং রুবেলের প্রায় দেড় শতক জমি ভোগ করার উদ্দেশ্যে গোপনে জাল করে নিজের নামে লিখে নিতে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে দলিল জমা দেয় দলিল লিখক আনোয়ার হোসেন। ঘটনা স্থানীয় লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে দলিল পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় ভবনাথপুরের বাসিন্দা দলিল লিখক আনোয়ার হোসেন।
স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, রুবেল প্রধান একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি। তিনি স্পষ্ট করে কথা বলতে পারে না। দলিল সম্পাদন বা লিখে দেয়ার বিষয়ে তার কোনো জ্ঞান নেই।
অর্জুনদী গ্রামের বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন, পাগলের জমি দলিল সম্পাদনের সাথে জড়িতরা হীনমানসিকতার পরিচয় দিয়েছে। এদের সুষ্ঠু বিচার হওয়া উচিত।
দলিল লেখক আনোয়ার হোসেন (সনদ নং ৭১) বলেন, জমিদাতা ও তার ভাই বোনেরা তার চিকিৎসা করানোর জন্য তার নামে থাকা জমি টুকু লিখে নিতে চেয়েছিলেন। তবে এই ধরনের কাজটা আমার করা ঠিক হয়নি। আমি ভুল করেছি। তাই পরবর্তীতে দলিল সংশোধন করে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
গ্রহীতার সাথে যোগসাজশে দলিল সম্পাদনের বিষয়ে সোনারগাঁ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মো: রিয়াজুল ইসলাম বলেন, জমি দাতা পাগল কিনা প্রথমে বুঝতে পারেননি। পরে মানসিকতা ভারসাম্যহীন রুবেলের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়ার পর তার নাম বাদ দিতে বললেই দলিল লিখক দলিলটি সম্পাদন করতে দলিল গ্রহিতাদের দিয়ে চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু আমি তা হতে দেইনি। দলিল লিখকের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
jn