সোনারগাঁয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ১২

স্টাফ রিপোর্টার।।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক এলাকায় নির্বাচনী বাগবিতন্ডাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধসহ ১২জন আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এর আগে বুধবার রাতে নির্বাচনী বাগবিতন্ডার জেরে সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।

এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের নুনের টেক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বারদী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য ওসমান গণি ও ইউপি নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী শুক্কুর মাহমুদের সঙ্গে দ্বদ্ধ চলছিল। এ দ্বদ্ধের জের বর্তমানেও চলছে। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সাবেক সাংসদ আবদুল্লাহ আল কায়সারের মনোনয়ন নিয়ে বুধবার রাতে ইউপি সদস্য ওসমান গণির ছেলে মেহেদী হাসান, জাকারিয়ার সঙ্গে শুক্কুর মাহমুদের সমর্থক বাবুলের জেরে কথা কাটাকাটি ও তর্কবিতর্ক হয়। এ নিয়ে সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন টেঁটা, বল্লম, রামদা, হকিস্টিক, লোহার রড, চাপাতি নিয়ে একে অপর পক্ষের ওপর হামলা করে। হামলায় ইউপি সদস্য ওসমান গণির পক্ষের রমিজউদ্দিন, মোসলেউদ্দিন, চাঁন বাদশা, বাহাউদ্দিন, স্বপন, মোক্তার, মেহেদী ও শুক্কুর মাহমুদের পক্ষের কামরুল ইসলাম, ওমর আলী , আব্দুল হক, হামিদ আলী, দেলোয়ার হোসেন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

বারদী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য ওসমান গণি জানান, বুধবার রাতে তার নাতি নৌকার স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুক্কুর মাহমুদের লোকজন রাতে মারধর করে। এর প্রতিবাদ করায় সকালে শুক্কুর মাহমুদ, সোলায়মান ও সামসুদ্দিনের নেতৃত্বে অর্ধশত লোকজন দেশীয় অস্ত্র টেঁটা, রামদা নিয়ে তাদের লোকজনের ওপর হামলা করে। হামলায় তার পক্ষের ৭জ আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মোসলে উদ্দিন ও চাঁন বাদশার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন।

শুক্কুর মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওসমান মেম্বারের পক্ষের জাকারিয়া জাতীয় পার্টির নেতা। তিনি জাতীয় পার্টির এ ওয়ার্ডের সভাপতি। সোনারগাঁ আসনে আবদুল্লাহ আল কায়সার মনোনয়ন পেয়েছেন। এ বছর ও তিনি মনোনয়ন ধরে রাখতে পারবেন না এমন মন্তব্য নিয়ে তার পক্ষের বাবুলের সঙ্গে তর্ক বিতর্ক হয়। সকালে পুনরায় হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় তার পক্ষের টেঁটাবিদ্ধসহ ৫ জন আহত হয়েছে।

সোনারগাঁ থানার ওসি মাহবুব আলম বলেন, হামলা ও সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনয় মামলা প্রক্রিয়াধীন ।

এফআর/অননিউজ

আরো দেখুনঃ