সোনারগাঁ প্রতিনিধি।।
সোনারগাঁয়ের বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হামছাদী ধনপুর এলাকার জিয়াসমিন আক্তার নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে নিখোঁজ হন ওই গৃহবধূ। এরপর সোমবার রাতে তাঁর লাশের সন্ধান মেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এর আগে নিখোঁজের ঘটনায় সোমবার সকালে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দেন নিহতের ভাই আবু তাহের। গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হামছাদী ধনপুর এলাকার মিজানুর রহমানের সঙ্গে গাবতলী মাছিনগর গ্রামের জিয়াসমিনের পাঁচ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৫ বছর বয়সী সাফা নামে সন্তান রয়েছে। গত রোববার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী-স্ত্রী মধ্যে ঝগড়া হয়। এর পর নিখোঁজ হন জিয়াসমিন।
মামলার বাদী জানান, তাঁর বোনকে হত্যা করে আত্মগোপনে চলে যায় স্বামী মিজানুর রহমান। হত্যার পর তাঁর বোনের বোরকার পকেটে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি রেখে দেয় তাঁর স্বামী। জাতীয় পরিচয়পত্রের সূত্র ধরেই লাশের সন্ধান মেলে।
সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক পঙ্কজ কান্তি সরকার বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক গৃহবধূর লাশের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে এখনও কোনো কাগজপত্র পাননি তাঁরা। শুনেছেন, বন্দর উপজেলার ইস্পাহানী এলাকায় ওই গৃহবধূ বিষপান করেন। পরে স্থানীয়রা তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়। হত্যার অভিযোগ দিলে মামলা নিয়ে তদন্ত করা হবে।
এফআর/অননিউজ