নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাচঁপুর বাসস্ট্যান্ডে প্রাইভেটকার স্ট্যান্ড দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুপক্ষের কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় মহাসড়কে প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবু ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম খান লিটনের সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ চলে আসছিলো। কাচঁপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রাইভেটকার স্ট্যান্ডে শফিকুল ইসলাম খান লিটনের লোকজন দখল করে চাদাঁ উত্তোলন করে আসছিলো। বুধবার দুপুরে বাবুল ওমর বাবুর সমর্থক মনু মেম্বারের নেতৃত্বে একদল লোকজন চাদাঁবাজী বন্ধ করার জন্য বাধা দেন। এতে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় তারা দুপক্ষের লোকজন আগ্নেয় অস্ত্র দিয়ে ফাকাগুলি ছোড়ার কারনে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে দুপক্ষের কমপক্ষে হাসান, পলাশ, নাজমুল, শরীফ, সুমন, মোস্তফা সহ ১২ জন আহত হয়। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাচঁপুর থেকে মদনপুর পযর্ন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ দিকে খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ও কাচঁপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম খান লিটন বলেন, তার লোকজন দীর্ঘ দিন ধরে স্ট্যান্ডে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। বাবুর লোকজন দখলে নেওয়ার চেষ্টা করলে তারা বাধা দেন। এতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
বাবুল ওমর বাবু জানান, লিটন খানের লোকজন দীর্ঘ দিন ধরে স্ট্যান্ডে চাদাঁবাজী করে আসছে। আমার নিজস্ব গাড়ী থেকেও চাদাঁ দাবী করে। আমার লোকজন বাধা দেওয়ায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।