নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কলেজ ছাত্র মফিজুল ইসলাম হত্যা মামলায় এক আসামির মৃত্যুদন্ড ও ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাবিনা ইয়াসমিনের আদালত এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে প্রধান আসামি জাহিদুলকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ প্রদান করেন আদালত।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নজরুল, আলমগীর, বাসাদ, আসাদ, কামাল, শাহ জামাল, জুয়েল, মমতা বেগম, কল্পনা বেগম। দন্ডপ্রাপ্ত ১০ আসামির মধ্যে সাতজন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জাহিদুল, বাসাদ ও আলমগীর পলাতক রয়েছেন। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) জাসমিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন ।
তিনি জানান, ২০১১ সালের ৯ নভেম্বর সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুছারচর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আসামীরা শহীদুল্লার বাড়িতে টেঁটা ও ধারালো ছুরিসহ হামলা চালান। এ সময় শহীদুল্লার কলেজ পড়ুয়া ছেলে মফিজুল ইসলামকে টেঁটা দিয়ে হত্যা করেন। একই সময় বাড়ি ঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালান। এতে আরো কয়েকজন আহত হন। এই ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের পিতা শহীদুল্লাহ। তদন্ত শেষে পুলিশ ১০ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়। ১০ বছর পর এই মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ে প্রধান আসামি জাহিদুলকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্য করের রায় প্রদান করেন আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডও করা হয়েছে। বাকি ৯ আসামির প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত।
জাসমিন আহমেদ আরো বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী রায়। দশজন আসামির সকলেই সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। এই রায় উচ্চ আদালতেও বহাল থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এই মামলায় মোট ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।