নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ফতেহপুর এলাকায় গত শুক্রবার ক্রিকেট খেলা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় সাতদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিকেলে নুরে আলম (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত নুরে আলম উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের কুমারচর গ্রামের মৃত লতিফ মিয়ার ছেলে। তিনি একজন সৌদি প্রবাসী কিছুদিন পূর্বে ছুটিতে দেশে আসেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসীরা জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের ফতেহপুর দড়িকান্দী এলাকায় কুমারচর বনাম গাংকুলকান্দী গ্রামের ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলার একপর্যায়ে গাংকুলকান্দি গ্রামের হানিফ মিয়ার সঙ্গে কুমারচর গ্রামের নুরে আলমের কথাকাটাকাটি হয়। খেলা শেষ হলে ও পরিকল্পিতভাবে গাংকুলকান্দি গ্রামের হানিফ মিয়ার নেতৃত্বে আউয়াল মিয়া, শরীফ মিয়া, অনিক মিয়া, শাহ আলী, সাইদুল মিয়া, মারুফ মিয়া, সানজিদ হোসেন, মুসা মিয়া সহ ১৫/২০ জনের একটি দল দা, ছেনা, লোহার রড সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে কুমারচর গ্রামের খেলোয়ারদের উপর হামলা চালানো হয়। হামলায় রনি মিয়া, খোরশেদ মিয়া, রাসেল মিয়া, সাখাওয়াত মিয়া ও নূরে আলম সহ ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়। তাদের ঢাকা কলেজ মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর একটি বেসরকারী হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিসিইউ)তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুরে আলমের মৃত্যু হয়।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার পরের দিন নুরে আলমের চাচাতো ভাই মমিন মিয়া বাদী হয়ে জড়িতদের নাম উল্লেখ করে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
নিহত নুরে আলমের ভাই সালা উদ্দিন বলেন, খেলা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে আমার ভাইয়ের উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে। সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুবরন করে। দীর্ঘ দিন ধরে সৌদি আরবে থাকে কিছুদিন পূর্বে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল এ কথা বলেই তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। ওই মামলাটিই হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তর করা হবে। আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের কয়েকটি দল কাজ করছে।
প্রধান সম্পাদক: হুমায়ুন কবির রনি
মোবাইল: ০১৭১৬-৫৩০৫১৪
ইমেইল: onnews24@gmail.com
www.onnews24.com