সোনারগাঁয়ে চাঁদা না পেয়ে ফসলী জমির মাটি কেটে বিক্রি ও দখলের অভিযোগ
নজরুল ইসলাম শুভ, সোনারগাঁ ( নারায়ণগঞ্জ)
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের পশ্চিম সনমান্দী ছনকান্দা এলাকার মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে ফসলী জমির মালিক কামাল হোসেনের কাছে চাঁদা দাবী করে একই এলাকার মোসলেম মাষ্টারের চার ছেলে কবির হোসেন, গোলজার হোসেন, জসিম উদ্দিন ও এমদাদুল হক।
চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে জোর পূর্বক কামাল হোসেনের সি এস ও এস এ-২৯৫ ও ১৬০, আর এস ৮৩৪, ৮৩৫, ৮৩৮, ৮৩৯, ৮৪৫, ৮৪৬ ও ৮৪৭ দাগে ৫৬ শতাংশ কৃষি জমির মাটি কেটে পুকুরে পরিনত করে ওই মাটি অন্যত্র বিক্রি করার পর জমিতে সাইটবোর্ড লাগিয়ে রেখেছে কবির হোসেন, গোলজার হোসেন, জসিম উদ্দিন ও এমদাদুল হক নামের চাঁদাবাজ চার সহোদর। সাইনবোর্ডে পাওয়ার-ফুল বিল্ডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নাম লিখা রয়েছে।
সরেজমিনে ওই এলাকায় গেলে জমির মালিক কামাল হোসেন বলেন, আমার ক্রয়কৃত ফসলী জমি তারা মালিকানা দাবী করে এবং আমার জমিতে মোসলেম মাষ্টারের চার ছেলে সাইনবোর্ড লাগিয়ে রেখেছে। এর আগে তারা আমার কাছে আড়াই লক্ষ্য টাকা চাঁদাদাবী করে এবং আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। তিনি বলেন, আমি চাকুরী করে জীবিকা নির্বাহ করি, তারা এই এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে মানুষকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
জমির মালিক কামাল হোসেন বলেন, আমি কোন উপায়অন্তু না পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সোনারগাঁ থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি। সকল দপ্তর থেকে আমার পক্ষে রায় আসলেও তারা তাদের সাইনবোর্ড এখনো উঠিয়ে নিচ্ছে না। উল্টো আমাকেসহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ’র বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার হুমকি প্রদান করে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছি এই জমি ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে কামাল হোসেন ভোগদখল করে আসছে। হঠাৎ মোসলেম মাষ্টারের ছেলেরা তার জমি থেকে মাটি কেটে ফসলী জমি পুকুরে পরিনত করে জোরপূর্বক সাইনবোর্ড লাগিয়ে রেখেছে। এখানেই শেষ নয়, তারা বরাবরই এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কোনঠাসা করে রাখতে চায়, আমরা এর প্রতিকার চাই।
সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ বলেন, জায়গার মালিক আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলো, বিবাদীদের ইউনিয়ন পরিষদে ডেকেছিলাম কিন্তু তারা উপস্থিত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বাদীকে ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য উচ্চ আদালতে অভিযোগ করার ডিগ্রী/আদেশ দিয়েছি।