সোনারগাঁয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ ইউপি সদস্যদের ||

 নজরুল ইসলাম শুভ, সোনারগাঁ ( নারায়ণগঞ্জ)।।

নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামসুল আলম সামসুর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ করেছেন ওই  ইউনিয়নের ৮জন ইউপি সদস্য। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই ইউপির ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. রহিম, ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মো.জহিরুল, ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. সেলিম, ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. মনিরুজ্জামান মনির ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মিনারা, জায়েদা ও নাছিমা স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রটি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বরাবর দেয়া হয়েছে। তবে ওই অভিযোগে বাকি ৪জন ইউপি সদস্য স্বাক্ষর করেনি।
অভিযোগের অণুলিপি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার বরাবরও দেয়া হয়েছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মাহমুদা খানমকে তাৎক্ষণিক ভাবে প্রত্যাহার করেছে জেলা প্রশাসক।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন কাজের জন্য বরাদ্দকৃত  শতকরা এক শতাংশ টাকা চেয়ারম্যান সঠিকভাবে বন্টন করছেন না। সদস্যরা এ বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত সরকারী ভাতাও দেয়া হচ্ছে না। টিসিবির পন্য সঠিকভাবে বন্টন করছেন না, এগুলো পছন্দের লোকজনকে দেয়া হচ্ছে। জন্ম নিবন্ধনের জন্য অতিরিক্ত ফি আদায়, ভূয়া সনদ দিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। কোন রেজিলেশন না করেই সচিবকে দিয়ে আগেই স্বাক্ষর করিয়ে নেন, এসব কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ৮জন ইউপি সদস্য জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী ইউপি সদস্য মো. সেলিম এ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমাদের সকল অভিযোগই সত্য। অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান সামসুল আলম পরিষদের ভেতর তার ব্যক্তিগত পিস্তল প্রদর্শন করে  আমাদেরকে ভয় ভীতির মধ্যে রাখেন।নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম এর সাথে কথা বলার জন্য একাধিক বার মুঠোফোনে চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, সোনারগাঁওয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম এর বিরুদ্ধেতার পরিষদের ৮জন সদস্যের লিখিত অভিযোগ  পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষনিক ভাবে পরিষদের সচিবকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের দূর্নীতির ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো দেখুনঃ