সোনারগাঁয়ে টেন্ডার জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে যুবলীগ-ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ

নজরুল ইসলাম শুভ,সোনারাগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)।।

হাটের টেন্ডার জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ চত্বরে গতকাল বুধবার যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে দুপক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ঘটনাস্থলে ও উপজেলার আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ১৩টি স্থায়ী হাটের জমা দেওয়ার দিন ছিল গতকাল বুধবার। পরে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ঐতিহ্যবাহী কাইকারটেক হাটটি ইজারা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর সমর্থক রোমান বাদশা হাট পরিচালনা করে আসছিল। গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সোহাগ রনির সমর্থক সজল মিয়া তার লোকজন ওই হাটের দরপত্র জমা দিলে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নান্নুর পন্থি ও মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সজিব, যুবলীগ কর্মী সাগর, হৃদয়, অনিক, পলাশ, পায়েল সহ ২০/২৫ জনের একদল যুবলীগের নেতাকর্মীরা এসে বাধা দেন। এতে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয় এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ও সংঘর্ষেও ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সোহাগ রনির সমর্থক শেখ মেহেদী হাসান, সজল মিয়া, জাবেদ মিয়া, পারভেজ মিয়া, রানা, মিরাজ হোসেন, আব্দুল আলী ও বাবু সহ ১২ জন আহত হয়। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর পক্ষের ফারুক প্রধান, রবিউল প্রধান সহ ৩ জন আহত হয়। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে সোহাগ রনির সমর্থক শেখ মেহেদী হাসান, জাবেদ, সজলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপজেলা পরিষদ থেকে বের করে দেন এবং উপজেলা চত্বর ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সেলিম মিয়া জানান, যুবলীগের সমর্থকরা দীর্ঘ দিন ধরে হাটটি পরিচালনা করে আসছিল। আমরা এ বছর টেন্ডার জমা দিতে গেলে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে।

মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সজিব মিয়া জানান, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে আমাদের কথাকাটাকাটি হয়েছে। তারা যুবলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে তিনজনকে কুপিয়ে আহত করে।

সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

আরো দেখুনঃ