নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুরে চাঁদাবাজির টাকার ভাগ–বাঁটোয়ারা নিয়ে দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবার ( ২৮ জানুয়ারি) দুই পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। কাঁচপুরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনার চাঁদাবাজির টাকা নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইউপি সদস্য মনু মিয়া এবং সাবেক ইউপি সদস্য শাহ আলম মিয়া ও তাঁদের সমর্থকদের মধ্যে ওই পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
ঘটনার পর থেকে পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এতে আবারও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কাঁচপুরে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) জায়গায় বিভিন্ন দোকানপাট ও স্থাপনা নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে কাঁচপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য শাহ আলম ও তাঁর লোকজন চাঁদা তুলছিলেন। গত ২৮ নভেম্বর কাঁচপুর ইউপি নির্বাচনে ওই ওয়ার্ডে নির্বাচিত হন মনু মিয়া। মনু মিয়া নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর সমর্থকেরা শাহ আলমের দখলে থাকা ফুটপাত দখলের চেষ্টা করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ইউপি সদস্য মনুর সমর্থক মমিন মিয়া লোকজন নিয়ে ওই ফুটপাত দখলের জন্য গেলে সাবেক ইউপি সদস্য শাহ আলমের লোকজনের সঙ্গে কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মনুর লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ছুরিকাঘাত করে ও পিটিয়ে শাহ আলম মিয়া ও তাঁর সমর্থক শামীম মিয়া, জুয়েল মিয়া, আবদুল আলী ও মাহাবুব হোসেনকে জখম করে।
খবর পেয়ে শাহ আলমের সমর্থকেরা একত্র হয়ে ইউপি সদস্য মনুর সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। হামলায় নুরুজ্জামান মিয়া, সানি হোসেন, মমিন মিয়া, রেজা মিয়া, মিজানুর রহমান ও জামান মিয়া মারাত্মক আহত হন। গুরুতর আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে কাঁচপুরের দুটি বেসরকারি ক্লিনিক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শাহ আলম মিয়া বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাত আমার দখলে ছিল। মনু মিয়া নির্বাচনে জয়ী হয়েই ফুটপাতের দখলের চেষ্টা করেন। অবশেষে তাঁর নির্দেশে সন্ত্রাসীরা আমাকে ও আমার সমর্থকদের ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে জখম করেন।
ইউপি সদস্য মনু মিয়া বলেন, ‘শাহ আলমের লোকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক–পর্যায়ে তাঁরাই প্রথমে আমার লোকজনের ওপর হামলা চালান।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।