নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নিন্মমানের সামগ্রী ও বৈদ্যুতিক খুটি সড়কের মধ্যে রেখেই সড়ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকায় বেইলী ব্রীজের এ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণে এ অভিযোগ উঠে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুরানো ভবনের ইটের খোয়া ও মাটি ও ময়লা মিশ্রিত বালু ব্যবহার করে এ সড়ক নির্মাণ করছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তদারককে ঈসাখাকে এ ইট ও মাটি মিশ্রিত বালু সরিয়ে নতুন ইটের খোয়া ব্যবহারের নির্দেশ দেন। এসময় তিনি এমন নিন্মমানের কাজের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে বারদি সড়কের আনন্দবাজার এলাকায় পুরানো স্টীলের বেইলি ব্রীজ ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ ব্রীজ দিয়ে চলতে গিয়ে স্কুল শিক্ষার্থী, পর্যটকসহ শতাধিক মানুষ আহত হয়। ব্রীজটি পুনঃ নির্মাণের দাবিতে স্থানীয়রা একাধিকবার মানববন্ধনসহ বিক্ষোভ করে। পরবর্তীতে সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে কালভার্ট ব্রীজ ও এ্যাপ্রোচ রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করে। এ নির্মাণ কাজ আগামী নভেম্বর মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। কালভার্ট ব্রীজের নির্মাণ কাজে তেমন কোন অভিযোগ না থাকলেও এ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণে নিন্মমানের ইট, খোয়া ও সুরকি ব্যবহার করে নির্মাণ কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাসুদ হাইটেক কনস্ট্রাকশন। এছাড়াও প্রায় আধা কিলোমিটার সড়কে ২৭টি বৈদ্যুতিক খুটি রেখেই এ নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে যে কোন সময় বড় ধরনে দূর্ঘটনার পড়তে পারেন বলে স্থানীয়রা আতংকিত হয়ে পড়েছেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাসুদ হাইটেক কনস্ট্রাকশনের প্রকল্প প্রকৌশলী পরান রায় বলেন, নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার হয়ে থাকলে তা সরিয়ে নেওয়া হবে। বৈদ্যুতিক খুটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে সড়ক ও জনপদ বিভাগের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাদের এ বৈদ্যুতিক খুটির জন্য আমাদের নির্মাণ কাজ প্রায় তিন মাস বন্ধ রাখতে হয়েছে।
বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার বলেন, আনন্দবাজার এলাকায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের রাস্তা নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ কাজ করছে। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শক করে সত্যাতা পাওয়া গেছে। নিন্মমানের সামগ্রী সরিয়ে নেওয়ার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তদারককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী গোলাম আহমদ বলেন, বিদ্যুতের খুটি সরানোর বিষয়ে তারা কোন আবেদন করেনি। সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌসী বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা সকল নির্মাণ সামগ্রী পরীক্ষা ও নিরিক্ষা করে ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে থাকি। বৈদ্যুতিক খুটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।