নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাদিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষণের শিকার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী জানান,সোনারগাঁ উপজেলার কাচঁপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বেহাকৈর এলাকার আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে শাহপরান(২৮) এর সাথে দীর্ঘ তিন বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে শাহপরান ওই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর ধর্ষক শাহপরানকে বিয়ের জন্য বলার পর সে বিয়ে করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে এবং ভুক্তভোগী ওই মেয়ের সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এদিকে ওই মেয়ের সাথে সম্পর্কের কথা ছেলের পরিবারকে জানানোর পরও তারা এ বিষয়ে কোন সমাধান না করে গতকাল বিকেলে তাদের ছেলেকে অন্যত্র বিয়ে করানোর জন্য প্রস্তুতি নেয়।এ কথা ভুক্তভোগী মেয়েটি জানার পর শাহপরানের সাথে তার বিয়ের দাবি করে ছেলের বাড়ীতে গেলে ধর্ষক শাহপরান,তার পিতা রউফ মিয়া ভাই বায়জিদ,হালিমা বেগম,কামাল হোসেন,মোঃ দুলাল,আলমগীর,শেফালী বেগম ও মোঃ শাহিন সবাই মিলে ওই মেয়েকে মারদর করে লীলাফুলা জখম ও পড়নের কাপড় ছিঁড়ে টেনে হিঁচড়ে শ্লীলতাহানি করে এবং সাথে থাকা রেডমি মোবাইল, নগদ ৫০০০ হাজার টাকা ও ছেলের সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি এনআইডি কার্ড সহ মূল্যবান প্রমাণাদি এবং গলায় থাকা ১০ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে মেয়েটির ডাক চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকেই ধর্ষক শাহপরান ও তার পরিবার বাড়ী ছেড়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন।পরবর্তীতে ভুক্তভোগী মেয়েটি বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান,অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।