নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হাটের দরপত্র জমা দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যানসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ( ১৮ ফেব্রুয়ার ) রাতে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুকে প্রধান আসামী করে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামি করে থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার বিকেলে অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রবিউল হোসাইন, রোমান, হৃদয়, অনিক, আলামিন ও শান্ত । শনিবার তাদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হবে।
সংঘর্ষে আহত সিরাজুল ইসলাম সজল বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় যুবলীগের সভাপতি নান্নু ছাড়া অন্য আসামি করা হয়েছে তারা হলেন মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুম বাবু, সদস্য শিপন মেম্বার, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এস.কে সজিব, সুমন, নূরে আলম, শফিকুল ইসলাম সাগর, হৃদয় প্রধান, অনিক প্রধান, আল আমিন, রোমান বাদশা, রবিউল, মলিন, শান্ত, পায়েল, রানা, রক্সি ও মামুন।
জানা যায়, মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ঐতিহ্যবাহী কাইকারটেক হাটটি ইজারা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুর সমর্থক রোমান বাদশা হাট পরিচালনা করে আসছিল। গত বুধবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সোহাগ রনির সমর্থক মামলার বাদী সজল মিয়া তার লোকজন ওই হাটের দরপত্র জমা দিলে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নান্নুর পন্থি ও মোগরাপাড়া নিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সজিব , যুবলীগ কর্মী সাগর, হৃদয়, অনিক, পলাশ, পায়েল সহ ২০-২৫ জনের একদল যুবলীগের নেতাকর্মীরা এসে বাধা দেন এবং ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয় এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ও সংঘর্ষেও ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সোহাগ রনির সমর্থক শেখ মেহেদী হাসান, সজল মিয়া, জাবেদ মিয়া, পারভেজ মিয়া, রানা , মিরাজ হোসেন, আব্দুল আলী ও বাবু সহ ১২ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে জনগণ সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ৬ জন আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।