সোনারগাঁয়ে রাস্তার বেহাল দশা, ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ

নজরুল ইসলাম শুভ, সোনারগাঁ ( নারায়ণগঞ্জ)

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বেলাব গ্রামের একমাত্র রাস্তার অবস্থা বেহাল। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বেলাব গ্রামের হাজারো মানুষ।

জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের তালতলা-বরপা প্রধান সড়ক সংলগ্ন বেলাব চৌরাস্তা থেকে বেলাব জামে মসজিদ পর্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। বেলাব গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র রাস্তা।

প্রায় ৭বছর পূর্বে এ রাস্তায় ইট বিছানো হয়েছিল। কিন্তু এখন বেশিরভাগ ইটই মাটি থেকে উঠে খানা-খান্দ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে অল্প বৃষ্টি হলেই এ রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা যায় না।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, এ রাস্তার ইট উঠে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। অনেক জায়গায় রাস্তার দু’ধারের মাটি সরে গিয়ে রাস্তাগুলো ভেঙে পড়েছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাগুলো ডুবে কাঁদা সৃষ্টি হয়। যার ফলে এ রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা যায় না।

অটোচালক মোশারফের বাড়ি বেলাব। অটো চালিয়েই চলে তার সংসার। রাস্তা নিয়ে তার অভিযোগ, উপজেলার কত রাস্তা ঠিক হচ্ছে, কিন্তু আমাদের রাস্তা হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে মনে হয় আমরা এ দেশের জনগণ না। তিনি আরও বলেন, ভাঙা রাস্তার কারণে অটো বেশিরভাগ সময়ই টেনে নিতে হয়।

মোহাম্মদ আলী , নুরজাহান বেগমসহ স্থানীয়রা জানায়, বেলাব গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র রাস্তা হলো এটি। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। প্রায় ৭ বছর পূর্বে এ রাস্তাটিতে ইট বিছানো হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত রাস্তাটি আর পাকা হয়নি। দুঃখের বিষয় গত তিন বছর ধরে রাস্তার বিভিন্ন অংশের ইট সরে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পরে। এমনকি গ্রামের মধ্যে রিক্সাওয়ালারাও আসতে চায় না।

এ বিষয়ে জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া বলেন, আমি ফেসকুকে এ রাস্তাটির বেহাল দশার অবস্থা দেখেছি। এই মুহূর্তে কোনো বরাদ্দ না থাকায় রাস্তাটি কবে নাগাদ ঠিক করা হবে তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে আমাদের মাথায় আছে এবারের নতুন বাজেটে কিছু একটা করার চেষ্টা করব।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রধান প্রকৌশলী মো. আরজুরুল হক বলেন, আমাদের উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো আগে সংস্কার বা মেরামত করা হচ্ছে। আর এগুলো সংস্কার করেই আমাদের বাজেট শেষ হয়ে যায়। তবে, আমাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।

আরো দেখুনঃ