সৌদি আরবের সোফা কারখানায় অগ্নিকান্ডে বাগমারার নিহত শ্রমিক সাইদুর রহমানের লাশ ১০ দিনেও দেশে পৌঁছেনি। এ জন্য লাশ ফেরত পেতে নিহত ওই শ্রমিকের বৃদ্ধ বাবা-মা ও একমাত্র ছেলে আবু বাক্কার দুই দেশের দুতাবাস কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ৩ জুলাই সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের ছোমাতি অঞ্চলের মুসাছানাইয়ায় সোফা কারখানায় অগ্নিকান্ডে বাংলাদেশী চার শ্রমিক নিহত হন। তাদের মধ্যে একজনের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার যোগীপাড়া ইউনিয়নের বারুইহাটি গ্রামে। তার নাম সাইদুর রহমান। তার বাবার নাম মেহের আলী সরদার। তার পাসপোর্ট নম্বর বিএক্স- ০৩২০৭৩৯।
নিহতের বৃদ্ধ বাবা মেহের আলী জানান, প্রায় ২৫ বছর আগে তার ছেলে সাইদুর রহমান সৌদি আরব যায়। এরপর থেকেই সে সৌদি আরবের রিয়াদের মুসাছানাইয়া এলাকায় একটি সোফা কারখানায় শ্রমিক হিসাবে কাজ করত। দুই বছর আগে তার ছেলের বউ (সাইদুর রহমানের স্ত্রী) মারা গেলে সে দেশে এসেছিল। কিন্তু এরপর পর থেকে তিনি আর ছেলের মুখ দেখেননি। নিহত সাইদুর রহমামের একমাত্র ছেলে আবু বাক্কার সিদ্দিক জানায়, ঘটনার দিন তার বাবাসহ ১৬ জন শ্রমিক ওই কারখানায় কাজ করছিলেন। এ সময় অনাকাঙ্খিতভাবে ওই কারখানায় আগুন লাগে। এতে তার বাবাসহ চারজন শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যান। বেঁচে যাওয়া একজন শ্রমিক আত্রাইয়ের বাবুল হোসেন প্রথমে মুঠোফোনে বিষয়টি তাকে জানায়। এরপর ঘটনার পরেরদিন বৃহস্পতিবার রাতে সৌদি দুতাবাস থেকেও ফোন করে বাবার মৃত্যুর বিষয়টি তাকে নিশ্চিত করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, নিহতের লাশ দ্রæত দেশে ফেরত আনার জন্য সৌদি আরব দুতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। থানার ওসি অরবিন্দ সরকারও একই মন্তব্য করেন।