প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ১৮, ২০২৫, ১:২২ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ১৭, ২০২৫, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ
সৌদি আরবে সোনাগাজীর যুবককে অপহরণ করে নির্মম নির্যাতন, দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে উদ্ধার

সৌদি আরবে ফেনীর সোনাগাজীর জয়নাল আবেদীন বাবলু (৩৫) নামে এক যুবককে অপহরণ করে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশী তিনটি বিকাশ নাম্বারে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ২৬ ঘন্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে ওই যুবককে। সে সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের চরখোয়াজ গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে। পরিবার ও দেশের অর্থনীতির পরিবর্তন ঘটাতে তিনি পাঁচ বছর পূর্বে সৌদি আরব যান। সেখানে তিনি মাইক্রোবাস চালিয়ে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবীকা নির্বাহ করেন। ভুক্তভোগী বাবলু ও তার ভাই হাুরুনুর রশিদ জানান, গত
১১ মে রাত ১১টার দিকে যাত্রী নিয়ে রিয়াদ শহরের সোলাই ১৮ নম্বর কুবরি এলাকায় যান বাবলু। সেখান থেকে ৬-৭ জন বাংলাদেশী যুবক গাড়ি সহ তাকে অপহরণ করেন। অপহরণকারীরা তার চোখ-মুখ বেঁধে একটি কক্ষে আটকে রেখে অমানুসিক শারীরিক নির্যাতন করেন। ইমোতে ভিডিও কলে নির্যাতনের ভয়াবহতা দেখিয়ে বাংলাদেশে অবস্থানরত পরিবারের সদস্যদের কাছে দশ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে দাবিকৃত মুক্তিপণ না দিলে তাকে হত্যা করার ভয় দেখান। সৌদি আরবে অবস্থানরত তার স্বজনরা মুক্তিপণ নিয়ে সৌদি আরব যোগাযোগ করতে চাইলে তারা সেখানে লেনদেন করবেননা বলে জানিয়ে দেন। বিকাশে টাকা দেওয়ার জন্য তিনটি বাংলাদেশী মোবাইল নাম্বার দেন। বাবলুর জীবন বাঁচাতে নিরুপায় হয়ে এই তিনটি বিকাশ নাম্বারে ০১৭৫০১৯৪৮৮৯, ০১৬১৮৯৬৪৪৩৯, ০১৮৮৫৬৯৮০৫৩ দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দেন তার স্বজনরা। মুক্তিপণের দেড় লাখ টাকা পেয়ে ২৬ ঘন্টা পর অর্থাৎ ১৩ মে রাতে তাকে ফের চোখ-মুখ বেঁধে ঘটনাস্থল থেকে দূরে নিয়ে একটি সড়কের ওপর গাড়ি সহ তাকে ছেড়ে দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাবলুর ভাই হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে ১৭ মে শনিবার সকালে সোনাগাজী মডেল থানায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. বায়েজীদ আকন অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিকাশ নাম্বারগুলোর নিবন্ধন যাচাই করে দেখা গেছে, এগুলোর একটি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ছাদেকপুর এলাকার নাজির হোসেন (৪২) নামে এক ব্যক্তির নামে নিবন্ধিত। তার পিতার নাম মেহের আলী ও মাতার নাম পেয়ারা বেগম। বাকী দুটি নাম্বারের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। ভুক্তভোগীর অপর ভাই প্রবাসী মো. ওমর ফারুক বলেন, বিষয়টি তারা তাৎক্ষণিক সৌদি আরবস্থ বাংলাদেশী দূতাবাসকে জানিয়েছেন। কিন্তু কোন প্রতিকার পাননি। রিয়াদ এলাকায় এ ধরণের ঘটনায় আরো ১০-১২জন বাংলাদেশী যুবককে অপহরণ করে৷ নির্মম নির্যাতন চালিয়ে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বাংলাদেশ দূতাবাস কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। রিয়াদে অবস্থানরত বাংলাদেশী প্রবাসী যুবকদের মধ্যে অপহরণ ও মুক্তিপণের আতঙ্ক বিরাজ করছে। তিনি অন্তর্তীকালীণ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
প্রধান সম্পাদক: হুমায়ুন কবির রনি
মোবাইল: ০১৭১৬-৫৩০৫১৪
ইমেইল: [email protected]
www.onnews24.com