কক্সবাজারে ওয়ায়েজ নামের ১৩ বছরের এক স্কুলপড়ুয়া ছাত্রকে খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব-১৫। এ ঘটনায় এক রোহিঙ্গা যুবকসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে তারা।মঙ্গলবার (১ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম।
আটকরা হলেন, চকরিয়া বড়পুকুরিয়া এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে নুরুল ইসলাম (২০), লোহাগাড়া চুনতি এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মো. আরিফ হোসেন (৩৬), উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্প-২ এর বাসিন্দা আমির হামজার ছেলে মো. হোসেন (৩১) ও মহেশখালী কালারমারছড়া এলাকার আলী আহম্মদের ছেলে আবু হেনা হানিফ (৩৩)।
র্যাব-১৫ অধিনায়ক জানান, গেল ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে রামুর খুনিয়াপালংয়ের পূর্ব ধেচুয়াপালং সড়কের পাশে অজ্ঞাত এক কিশোরের লাশের সন্ধান মিলে। তার শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় এবং ধারণা করা হয়, দুর্বৃত্তরা ওই কিশোরকে উপর্যুপরি আঘাত করে সড়কের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহারসহ গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে র্যাব।
নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তার বাবা মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে রামু থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম জানান, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা একটি সংঘবদ্ধ আন্তঃজেলা ইজিবাইক ছিনতাই চক্র। আসামি নুরুল ইসলাম ও ভিকটিম মো. ওয়ায়েজ একে অপরের বন্ধু। দুজনেই পেশায় ইজিবাইক চালক। গেল ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে নূরুল ইসলাম ও আবু হেনা হানিফ ভিকটিম মো. ওয়ায়েজের ইজিবাইকে সমিতিপাড়া থেকে মরিচ্যা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
এরপর রাত পৌনে ১১টার দিকে তারা মরিচ্যার খুনিয়াপালং এলাকার রামু-মরিচ্যা রোডের পাশে ইজিবাইক দাঁড় করিয়ে চালক ওয়ায়েজকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ইজিবাইকটি ছিনতাই করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ওয়ায়েজ তাতে বাধা দেওয়ায় দুজনে মিলে মারধর এবং উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে জমিতে ফেলে পালিয়ে যায় তারা।
তিনি আরও জানান, নুরুল ইসলাম আন্তঃজেলা ইজিবাইক ছিনতাই চক্রের মূলহোতা মো. আরিফ হোসেনের সঙ্গে ছিনতাইকৃত ইজিবাইকটি বিক্রির জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরামর্শ করেন। এরপর তারা ছিনতাইকৃত ইজিবাইকটি অপর দুই আসামি মো. আরিফ হোসেন ও মো. হোসেন (রোহিঙ্গা) এর কাছে জমা দিয়ে চলে যায়।
তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।