নড়াইল সদর উপজেলার সড়াতলা গ্রামে স্ত্রীকে গলা কেটে ও পুড়িয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে
আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে নিহত আছিয়া বেগমের স্বামী রনি শেখ (২৪) ও তার
বন্ধ আব্বাস ফকির (২২)। শনিবার রাত ৮টার দিকে নড়াইলের আমলী আদালতের সিনিয়র
জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট হেলাল উদ্দিন এর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়।
এর আগে হত্যকান্ডের ১৫ঘন্টার মধ্যে গত শনিবার ভোর রাতে আছিয়ার স্বামী রনি শেখকে
কালিয়া থেকে এবং রনির প্রধান সহযোগী তার বন্ধু একই গ্রামের জামির ফকিরের ছেলে
আব্বাসকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থেকে গ্রেফতার করে। এছাড়া ঘটনার পর রনির পিতা
মো: লিটু শেখ(৫৫) এবং তার দুই ভাই ইমরান শেখ(২৮) ও রুবেল শেখকে(২৬) গ্রেফতার করে
পুলিশ।
আছিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার মা রেবেকা বেগম বাদী হয়ে ৮জনকে আসামী করে গত ৫
নভেম্বর নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন (মামলা নং-৮)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নড়াইল সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ওবায়দুর রহমান জানান,
আসামী রনি ও আব্বাস আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দেয়ার পর কারাগারে পাঠানো
হয়েছে।
প্রসঙ্গত: সাড়ে তিন বছর আগে সড়াতলা গ্রাামের রনি শেখের সাথে একই গ্রামের
এখলাছ শিকদারের মেয়ে আছিয়া বেগমের সাথে বিয় হয়। তাঁদের আড়াই বছরের একটি পুত্র
সন্তান রয়েছে। এলাকাবাসী জানায় রনির অন্য মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক থাকার কারণে
তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল। গত শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে রনিদের বসতঘরের জানালা দিয়ে
আগুন দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন এসে আগুন নেভান। এরপর দেখা যায় বিছানায় আছিয়ার
গলাকাটা ও পুড়ে যাওয়া মরদেহ। আগুনে বিছানার চাদর, তোষক, কাথা ও আছিয়ার গায়ের
কাপড় পুড়ে যায়।
নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোসাঃ সাদিরা খাতুন বলেন, ‘পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই
বর্বর হত্যাকান্ডের পেছনে থাকা আছিয়ার স্বামীসহ মামলার পাঁচ আসামীকে ঘটনার পনের
ঘন্টার মধ্যে নড়াইল জেলা পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে
সোপর্দ করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।