কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ‘মিয়াজাকি’ আমগাছ চুরির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগরে অবস্থিত বিলাসবহুল বহুতল বাড়ি ‘প্যারেন্ট লজ’ থেকে প্লাস্টিকের ড্রামে লাগানো ওই গাছটি হারিয়ে গেছে।
আলাউদ্দিন আহমেদ ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক মো. সাইফুর রহমান জানান, প্রায় এক বছর আগে চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদ জাপান থেকে আমগাছটি নিয়ে এসে সহধর্মিণী সুরাইয়া বিলকিসের জন্মদিনে উপহার দেন। পরে সেটি বাড়ির দক্ষিণ পাশে রাখা হয়েছিল। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে গাছটি উধাও হয়ে যায়। সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম দামী এই আমের বৈজ্ঞানিক নাম ‘তাইয়ো নো টোমাগো’ (Taiyo-no-tomago)। এটি জাপানের মিয়াজাকি অঞ্চলে প্রথম চাষ হওয়ায় এর নামকরণ হয়েছে ‘মিয়াজাকি’। এ প্রজাতির এক কেজি আমের দাম আড়াই লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, রেলগেট–শিলাইদহ রবীন্দ্রকুঠিবাড়ি সড়ক ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে সাদা রঙের বহুতল ভবন প্যারেন্ট লজ। চারপাশে উঁচু প্রাচীর, প্রবেশপথে পাহারাদার, সিসিটিভির নজরদারি ও শোভাবর্ধনে নানা দেশি-বিদেশি গাছপালা। তবে মিয়াজাকি আমগাছটির আর কোনো খোঁজ নেই।
পাহারাদার মো. আসাদুল ইসলাম জানান, তিনি ছয় মাস ধরে এখানে কর্মরত। সিসিটিভি ক্যামেরা ও পাহারা থাকলেও গাছটির বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক গোলাম হাফিজ জানান, আশপাশের এলাকায় প্রায় দেড় হাজার গাছ লাগানো হয়েছে সবুজায়নের লক্ষ্যে। এর মধ্যে মিয়াজাকি গাছটি ছিল সবচেয়ে মূল্যবান। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও হঠাৎ এটি উধাও হয়ে যাওয়া বিস্ময়কর।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জিয়াউর রহমান লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মূল্যবান ও উপহারের গাছ হারানোর ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ তার মতে, এলাকায় গাছ হারানোর এমন অভিযোগ এই প্রথম।
সূত্র:somoy
ই/অননিউজ ২৪