কুমিল্লায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ১ নম্বর আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এ আদেশ দেন। এ ছাড়া এ মামলায় তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবদুল কাদের কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কোমারডগা গ্রামের বাসিন্দা।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাড. প্রদীপ কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল কাদের বিয়ের সময় পঞ্চাশ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন। কনের পরিবার ওই সময় নগদ ২০ হাজার টাকা দেয়। পরে বাকি ৩০ হাজার টাকার জন্য স্ত্রী ঝর্ণা আক্তারকে প্রায়ই মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন।
২০০৯ সালের ২৪ জুন রাতে কাদের ঝর্ণা আক্তারকে হত্যা করে মরদেহ পুকুরে ফেলে দেন। এ ঘটনায় ঝর্ণা আক্তারের বড় বোন খালেদা বেগম চৌদ্দগ্রাম একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত কাদেরের ফাঁসির আদেশ দেন।