জ্বালানি তেলের মুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে দিনাজপুরের হিলিতে চতুর্থ দিনের মতো চলা ধর্মঘটে দিনাজপুরের হিলি স্থল বন্দরে আমদানি রফতানি বানিজ্যে স্বাভাবিক রয়েছে। তবে চাহীদামত পণ্যপরিবহনে ট্রাক না পাওয়ায় ও ভাড়া ভাড়ায় পণ্য পরিবহন কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে।একইসাথে বিভিন্ন প্রজেক্টে চুক্তির পণ্য সরবরাহ সমস্যার আশংকা করছেন বন্দরের আমদানিকাররা।
সোমবার সকাল থেকেই বন্দর দিয়ে দুদেশের মাঝে আমদানি রফতানি বানিজ্য স্বাভাবিক গতিতে শুরু হয়েছে।বন্দরে পণ্য নেওয়ার জন্য বাংলা ট্রাকগুলো প্রবেশ করছেন। বন্দর থেকে পণ্য নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে তা চলেও যাচ্ছে। এদিকে ধর্মঘটের সমর্থনে কাওকে সড়কে দেখা যায়নি।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তেলের মুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ধর্মঘট অব্যাহত থাকলেও ট্রাক পাওয়া যাচ্ছে তবে তা চাহীদার তুলনায় কিছুটা কম সেই সাথে ট্রাকের ভাড়া বেড়ে গেছে। এর ফলে পণ্যের দামের উপর গিয়ে প্রভাব পড়েছে, দাম বাড়ছে এতে করে জনগনের ভোগান্তি বাড়ছে।
পাথরের ভাড়া টনপ্রতি যেভাড়া ছিল ৯শ টাকা তা এখন বেড়ে ১হাজার ৫০টাকায় গিয়ে দাড়িয়েছে। এর ফলে পণ্যের দাম যেমন বেড়ে যাচ্ছে তেমনি সরকারের বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টে পাথর সরবরাহের জন্য যেসব আমদানিকারকরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন এই ভাড়া বাড়ার কারনে সেসব প্রজেক্টে পণ্য সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন,হিলি স্থলবন্দরের কার্যক্রম অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক রয়েছে।যথারীতি সকাল থেকে ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করছে। একইসাথে বন্দর থেকে পণ্য নেওয়ার জন্য বাংলা ট্রাকগুলো প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে, তবে তা অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম রয়েছে।
স্বাভাবিক সময়ে বন্দর থেকে ৪শ ট্রাক পণ্য নিয়ে গেলেও গতকাল ৩৭০ট্রাক পণ্য নিয়ে গেছে। এর কারনে বন্দরের ভেতরে কিছুটা পণ্যজটের সৃষ্টি হওয়ার শংকা রয়েছে। আজকে বন্দরের ভেতরে পণ্য লোড আনলোড কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। লোড শেষে ট্রাকগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে।
আয়েশা আক্তার/অননিউজ24