রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে স্থানীয় সরকার। সেক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারকে আরও শক্তিশালী করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের উন্নয়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প নেয়ারও তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস-২০২৪ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা জনগণের কাছে যে ওয়াদা দিয়েছেন তা পালন করতে তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে স্থানীয় সরকারকে। কেন্দ্রীয় সরকার উন্নয়নে বরাদ্দ দেবে, কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সাবলম্বী হতে হবে।
গেল ১৫ বছরে বদলে গেছে বাংলাদেশের দৃশ্যপট। সব রকম সুযোগ সুবিধায় শহরে পরিণত হয়েছে প্রতিটি গ্রাম। এমন প্রেক্ষাপটে স্মার্ট হবে স্থানীয় সরকার, নিশ্চিত করবে সেবার অধিকার। এ প্রতিপাদ্যে দ্বিতীয়বার পালিত হলো স্থানীয় সরকার দিবস।
বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নই মূল লক্ষ্য। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, মানুষের আত্মসামাজিক উন্নয়ন এবং শোষণ থেকে রক্ষা করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেন। একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের দায়িত্বভার তিনি হাতে নেন। তার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের মানুষের অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থা করা; সেই স্বপ্ন নিয়ে তিনি স্বাধীনতা পর আমাদেরকে একটি সংবিধান দেন। মাত্র ১০ মাসের মধ্যে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আবারও আমরা ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনকে শক্তিশালী করি। জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে যেন এগুলো গড়ে ওঠে সেই ব্যবস্থাটা আমরা নিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের সার্বিক উন্নয়ন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উৎপাদন বাড়াতে যথাযথ মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে ভূমির কার্যকর ব্যবহার করতে হবে। সার্বজনীন পেনশন স্কিমে দেশের সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত হলে উপকৃত হবে সবাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে স্থানীয় সরকার। সেক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারকে আরও শক্তিশালী করা হবে।
যেনতেনো প্রকল্প না নিয়ে জনগণের উপকারের বিষয়টি নজরে রাখার তাগিদ দেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে জনগণকে দেয়া ওয়াদা পূরণ করবেন। সরকারি কর্মকর্তাদের বুদ্ধি শুনে অযথা বা যেনোতেনো প্রকল্প নেবেন না। কারণ আপনার এলাকার প্রয়োজন আপনাকেই ভালো করে জানতে হবে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, দুর্নীতি থেকে সমাজ রক্ষায় বিশেষ যত্নবান হয়ে কাজ করতে হবে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের।
সন্ত্রাস, মাদক, দূর্নীতি থেকে যেন সমাজ রক্ষা পায় সেদিকে নজর দিতে জনপ্রতিনিধিদের আরও সক্রিয় হতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ, শরীয়তপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মো. লায়েব উদ্দিন লাভলু, পঞ্চগড় পৌরসভা মেয়র জাকিয়া খাতুন ও জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রশিদ লাভলু প্রমুখ।
এফআর/অননিউজ