প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচনী ওয়াদা পূরণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। গণতান্ত্রিক ধারা ও স্থিতিশীল পরিবেশ অব্যাহত আছে বলেই দেশের উন্নয়ন হয়েছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করতে ইতিহাস বিকৃতি ও অপপ্রচার করছে একটি মহল, মন্তব্য করেন তিনি। রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অধ্যক্ষ সম্মেলন ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। এসময়ে ১২ হাজার ৩শ’ ৯৪ জন বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ও অস্বচ্ছলদের হাতে সনদ তুলে দেন সরকার প্রধান। উদ্বোধন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, আইসিটি ল্যাব, নতুন কোর্স চালুসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ছাড়া জাতির উন্নয়ন সম্ভব না। ’৭৫ এর পর সেনা শাসকদের আমলে নিজেদের ক্ষমতা বৈধ করতে শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ নষ্ট করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা অভিযোগ করেন, মানুষকে পদদলিত করে অন্ধকারে রাখতে চায় স্বাধীনতাবিরোধীরা। তারা বারবার ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাসের কথা স্মরণ করিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেই উন্নয়ন ধরে রেখেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট সময়ে বাংলাদেশকে উন্নত করতে সক্ষম হয়েছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেখে গিয়েছিলেন স্বল্পোন্নত দেশ। ২০২০ সালের জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী, ২০২১ সালে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি। তখনই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পায়। নির্বাচনী ওয়াদা আমরা রক্ষা করি।’ সরকার প্রধান বলেন, ‘দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক, এটা বিএনপি-জামায়াত জোটের কখনোই ইচ্ছা ছিল না। মানুষকে পদদলিত করে রাখা, অন্ধকারে রাখা এবং তাদের শোষণ করে রাখাই তাদের লক্ষ্য। নিজেরা অবৈধ সম্পদের মালিক হবে- এটাই বোধহয় তাদের চেষ্টা।’ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চাহিদা মেটাতে তরুণ সমাজকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে যুগোপযোগী শিক্ষানীতি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতা আসি তখন দেখি বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কম। বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য আলাদা কোনো বরাদ্দ ছিল না। ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখলাম শুধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণা খাতে। কম্পিউটার শিক্ষার ওপর জোর দিলাম। কারণ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হলে বিজ্ঞানের প্রতি ছাত্রদের আগ্রহ বাড়বে বলে আমি বিশ্বাস করেছিলাম। আজ সেটার সুফল জাতি পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যখন সাবমেরিন ক্যাবল সংযুক্ত হচ্ছে। তখন একটি প্রস্তাব আমরা পেয়েছিলাম, বাংলাদেশ বিনা পয়সায় সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত হতে পারবে। সেসময় ক্ষমতায় খালেদা জিয়া। তিনি বলে দিলেন সংযুক্ত করা যাবে না। দেশের সব সিক্রেসি নাকি আউট হয়ে যাবে। সিক্রেসিটা কী, আউট বা কীভাবে হবে, সেটা আমরা জানি না। এরকম মানসিকতা নিয়ে আমাদের দেশ চলছে। কত পেছনে আমরা পিছিয়ে ছিলাম।
এসকেডি/অননিউজ
প্রধান সম্পাদক: হুমায়ুন কবির রনি
মোবাইল: ০১৭১৬-৫৩০৫১৪
ইমেইল: onnews24@gmail.com
www.onnews24.com