ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিষাক্ত স্প্রিটপানে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন, শহরের আড়পাড়া গ্রামের হারুনের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন খা (৩৩), ঢাকালে পাড়ার খোকনের ছেলে রাজিব হোসেন (২৭) ও আড়াপাড়ার অনিল কুমারের ছেলে বিপুল (৪৫)।
এ ঘটনায় এখনো আশংকাজনক অবস্থায় পালিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন চার জন। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে স্প্রিট পান করেন তারা। এক পর্যায়ে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। লোক জানাজানির ভয়ে তারা পালিয়ে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিতে থাকে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। একে একে তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
কালীগঞ্জ শহরের কলেজ পাড়ায় বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। জাহাঙ্গীর হোসেন খার ভাই আলমগীর খা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তার ভাই বাড়ি এসে গোঙাতে থাকে। মধ্যরাতে তিনি মারা যান। শুনেছেন তিনি স্প্রিট পান করেছিলেন।
নিহত বিপুল কুমারের ভাই নির্মল কুমার জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার ভাইয়ের প্রেসার কমে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার করে। হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি।
শহরের ঢাকালে পাড়ার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নিহতরা কালীগঞ্জ মেইন বাস্টান্ডের রেজা হোমিও হল থেকে অ্যালকোহল পান করে। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা।
কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শিবলী খাতুন জানান, রেকর্ড বই অনুযায়ী রাজিব হোসেন অ্যালকোহল খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে যশোরে রেফার করা হয়।
কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম জানান, প্রথমে আমরা ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাই। পরে তিনজনের সত্যতা পেয়েছি।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, মৃতরা অ্যালকোহল পান করেছিলেন। তারা সবাই বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিলে মারা যান তারা। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য এর আগেও কালীগঞ্জে স্প্রিট ও মদ পানে ১৪ জনের মৃত্যুর রেকর্ড রয়েছে।