প্রিমিয়ার হকি লিগের দলবদলে বিপাকে আছেন তিন বাহিনীর ৬ গোলরক্ষক। লিগ কমিটি যে বাইলজ তৈরি করেছে, সেখানে একটি ক্লাব সর্বোচ্চ ৫ জন বাহিনীর খেলোয়াড় নিতে পারবে। এই নিয়মের গ্যাঁড়াকলে পড়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ৬ গোলরক্ষক। কোটায় থাকার কারণে, গোলরক্ষকদের নিয়ে ক্লাব কর্মকর্তাদের আগ্রহ কম।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে আছেন অসীম গোপ ও মনোয়ার হোসেন রাসেল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে আছেন ইয়াসিন আরাফাত হিমেল, রফিকুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে আছেন বিপ্লব কুজুর ও সজিবুর রহমান।
গোলরক্ষক নিয়ে কোটা নষ্ট করতে চায় না ক্লাবগুলো। যে কারণে, তিন বাহিনীর এই ৬ গোলরক্ষক আছেন আর্থিক ক্ষতির আশংকায়। পাশাপাশি দল না পেলে নিজেদের পারফরম্যান্স দেখানোর সুযোগও হারাবেন তারা।
গোলরক্ষকদের ওপর থেকে কোটা তুলে নেয়ার জন্য এই ৬ জন আবেদন করেছেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনে। সাধারণ সম্পাদক বরাবর লেখা চিঠিতে কোটার কারণে তাদের আর্থিক ক্ষতির আশংকার কথা উল্লেখ করেছেন।
বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেছেন, ‘আমি চিঠিটি পেয়েছি। আমার বরাবর লেখা চিঠি আমি প্রেরণ করব লিগ কমিটিতে। কারণ, কোটার সিদ্ধান্তটা বিস্তর আলোচনার পর লিগ কমিটিই নির্ধারণ করেছিল। বাইলজে পরিবর্তন করলে তা লিগ কমিটিই করতে পারে।’
বৃহস্পতিবার ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সভা আছে। সভায় বিষয়টি তোলা হবে কিনা জানতে চাইলে ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমার কাছে লেখা চিঠি লিগ কমিটিতেই প্রেরণ করতে হবে। সভাপতি বরাবর লিখলে আমি তার কাছে পৌঁছাতাম।’
সাইফ/অননিউজ টুয়েন্টিফোর