কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দীন ভুঞা জনীর বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে তদন্ত শুরু করায় সর্বমহলে তোলপাড় চলছে। মহামান্য হাইকোর্ট এ বিষয়ে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দাখিলের জন্য শিক্ষা সচিবসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে রুলনিশি জারি করেছেন। রোববার দুপুরে উপজেলার বাইড়া মো: আরিফ স্কুল এন্ড কলেজে ওই তদন্ত শুরু হয়।
সরেজমিনে জানা যায়, অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করণের জন্য মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দীন ভুঞা জনী গত ২৯ ডিসেম্বর বাইড়া মো: আরিফ স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি আলী ইমাম কাউছার রুবেলকে নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে কলেজ সভাপতি আলী ইমাম কাউছার রুবেল গত ৮ জানুয়ারি মহামান্য হাইকোর্টে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাইড়া মো: আরিফ স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিনিধি কামাল উদ্দিন আহমেদকে প্রতিপক্ষ করে একটি রীট পিটিশন দায়ের করেন (যার নং ১৬৫/২০২৩)। আবেদনকারীর পক্ষে রীট পিটিশনটি পরিচালনা করেন, এডভোকেট খন্দকার খালিকুর রহমান।
মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও মো: বশির উল্লাহ’র যৌথ বেঞ্চ অধ্যক্ষ নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়াদি আগামী ৬ মাসের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। একই সাথে উক্ত বিষয়ে ৪ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দাখিলের জন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিবসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে রুলনিশি জারি করেন। ওই রীটের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দীন ভুঞা জনী উদ্দেশ্য প্রনোদীত ভাবে গত ১১ জানুয়ারি বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। সে মতে তিনি গত ১৭ জানুয়ারি অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীদের ২২ জানুয়ারি সকাল ১১টায় প্রয়োজনীয় সাক্ষী ও তথ্য প্রমানাদিসহ কলেজে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পাভেল খান পাপ্পু সরেজমিন তদন্তে যায়। তদন্তকালে অভিযোগ কারীদের বক্তব্যের সাথে অভিযোগের কোন প্রকার মিল এবং তথ্য প্রমানাদি উপস্থাপন করতে পারেনি। ফলে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে কলেজ সভাপতি আলী ইমাম কাউছার রুবেল বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দীন ভুঞা জনী একটি মহলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উদ্দেশ্য প্রনোদীত ভাবে তদন্ত করাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সমূহ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পাভেল খান পাপ্পু বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক বিষয়টির তদন্ত চলছে। অভিযোগ কারীদের সাক্ষ্য ও তথ্য প্রমানাদি নিয়ে উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তারা কোন সাক্ষ্য ও তথ্য প্রমানাদি উপস্থাপন করতে পারেনি। যার ফলে তাদেরকে সাক্ষ্য ও তথ্য প্রমানাদির জন্য আরো দু’দিন সময় দিয়েছি।