হাজার হাজার মানুষের শোক, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চেয়ারস্যানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার বেলা ১১টায় প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লীরা উপস্থিতিতে সোনাগাজী মোহাম্মদ ছাবের মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথম ও তার বাড়ির দরজায় সওদাগর হাট মাহমুদিয়া মাদরাসা মাঠে প্রায় ২০ হাজার মুসল্লীর উপস্থিতিতে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরাস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। প্রথম নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন ফেনী জেলা জামায়াতের আমির মুফতি মাও. আবদুল হান্নান ও দ্বিতীয় নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন সওদাগর হাট মাহমুদিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাও. শফি উল্যাহ। বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয়পার্টি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা এবং সর্বস্তরের মুসল্লিরা জানাজায় অংশ নেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। জানাজা পূর্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন মিস্টার, আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার, সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্মআহবায়ক এয়াকুব নবী, আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেন, সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু, সাবেক সাধারণ সামছুউদ্দিন খোকন চেয়ারম্যান, মঞ্জুর হোসেন বাবর, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ আলম ভূঞা ও উপজেলা যুবদলের আহবায়ক খুরশিদ আলম ভূঞা প্রমূখ।
উল্লেখ্য; ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও চরচান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক দুই বারের চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন হঠাৎ হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। শনিবার রাত ৯টি ৩৫ মিনিটে ঢাকার মদনপুর আলবারাকা হাসপাতালে তিনি মারা যান। তার সঙ্গে থাকা যুবদল নেতা আরিফুল ইসলাম বাবর ও স্ত্রী শামীমা আক্তার জানান, সন্ধ্যার দিকে তিনি মেরুদণ্ডে হঠাৎ ব্যথা অনুভব করলে তাকে ফেনীর একটি হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। মদনপুর গেলে হঠাৎ স্ট্রোক করে তার হৃদ ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক তাকে মদনপুর আলবারাকা হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তিনি এক স্ত্রী, তিন ছেলে ও তিন মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন। তিনি ১৯৯৩ সালে প্রথমবার এবং দ্বিতীয়বার ১৯৯৮ সলে চরচান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। একই ইউনিয়নের তিনবারের চেয়ারম্যান মরহুম আবদুর রবের ছেলে তিনি। তার মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানানো হয়েছে।
একে/অননিউজ24