বিশাল চাপ নিয়েই চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। নিশ্চিত পরাজয়ের শঙ্কা নিয়ে চতুর্থ দিনে শুধু রান ব্যবধান কমাচ্ছে টাইগার ব্যাটাররা। অন্যদিকে লঙ্কানদের জন্য এই ম্যাচে জয় কেবলই সময়ের ব্যাপার। এই ম্যাচে জয়ের জন্য এখনও ৩৮২ রান দরকার লাল-সবুজ শিবিরের। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ১২৯ রান করে মধ্যাহ্নবিরতিতে গেছে বাংলাদেশ।
সোমবার (২৫ মার্চ) হারের শঙ্কা নিয়ে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নামেন দুই অপরাজিত ব্যাটার মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলাম। তবে সফরকারীদের ব্যাটিং তোপে দিনের তৃতীয় ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ‘নাইটওয়াচ’ ম্যান তাইজুল।
কাসুন রাজিথার বলে লেগ বিফোর হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। ১৫ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৬ রান।
তাইজুলের বিদায়ের পর মিরাজকে নিয়ে মুমিনুলের প্রতিরোধ বা হার বিলম্বিত করা জুটিতে পথ দেখছে বাংলাদেশ। এই জুটিতে লজ্জার রেকর্ড থেকে রেহাই পায় লাল-সবুজ শিবির।
লঙ্কানদের বিপক্ষে সর্বনিম্ন স্কোর ও হোম ভেন্যুতে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোরের শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ। ৫১ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটে ৬৬ রান যোগ করে এই জুটি।
এতে আর উইকেট না হারানোর স্বপ্ন বুনে বাংলাদেশ। তবে একপর্যায়ে খেই হারিয়ে ফেলেন মিরাজ। দলীয় ১১৭ রানের মাথায় রাজিথার অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে স্লিপে ধনঞ্জয়ার হাতে ক্যাচ দিয়ে ৬ চারে ৫০ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন মিরাজ। এতে ভাঙে তাদের ৬৬ রানের জুটি।
মিরাজের বিদায়ে হারের আরও দ্বারপ্রান্তে চলে যায় বাংলাদেশ। তবে শরিফুলকে নিয়ে দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত লঙ্কানদের অপেক্ষা বাড়ান সাবেক টেস্ট দলপতি।
চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন শেষে ৭ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১২৯ রান। ক্রিজে আছেন ৪৬ রান করা মুমিনুল ও তার সঙ্গী ৩ রান করা শরিফুল।
এফআর/অননিউজ